শিখতে থাকুন

আপনি তো নিবন্ধিত হননি।
শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি এখনই নিবন্ধন করুন, এর দ্বারা আপনার অগ্রগতিকে অঅপনি ধরে রাখতে পারবেন, আপনার সাংকেতিক চিহ্ন বা পয়েন্টগুলির সংখ্যা একত্রিত করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রতিযোগিতায় আপনার প্রবেশের সুযোগ হবে। তাই এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি নিবন্ধিত হন, আপনি সেই পাঠ্য বিষয়গুলিতে একটি বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেট পাবেন, যে পাঠ্য বিষয়গুলির আপনি জ্ঞান লাভ করবেন।

মডেল: বর্তমান বিভাগ

পাঠ্য বিষয় শিরোনাম: আজানের বিষয়

মহান আল্লাহ মুসলিম জাতিকে নামাজের জন্যে একত্র করার উদ্দেশ্যে এবং তাদেরকে নামাজের সময় জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আজানের বিধান প্রদান করেছেন। এই পরিচ্ছেদে আমরা আজান ও ইকামত দেওয়ার বিধান জানতে পারবো।

 উদ্দেশ্য হলো:

  • আজান দেওয়ার জ্ঞান লাভ করা।
  • ইকামত দেওয়ার জ্ঞান লাভ করা।
  • যে ব্যক্তি আজান শুনবে, সে ব্যক্তির জন্য মুয়াজ্জিন যা বলবে, তাই তার পরে পরে বলার মর্যাদার জ্ঞান লাভ করা।

অন্য একজন ছাত্রকে গণনা করুন। এই পাঠ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ করুন

আজানের বিধিবিধান

মহান আল্লাহ মুসললিম সমাজের জন্য নামাজের প্রতি আহ্বান করার উদ্দেশ্যে এবং নামাজের সময় হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জ্ঞাত করার উদ্দেশ্যে আজানের বিধিবিধান প্রদান করেছেন।

আর মুসললিম সমাজকে নামাজ শুরু হওয়ার সময় এবং নামাজ আরম্ভ হওয়ার সময় শুরু হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জ্ঞাত করার উদ্দেশ্যে ইকামতের বিধিবিধান প্রদান করেছেন।

আজান দেওয়ার নিয়ম কিভাবে শুরু হয়েছে?

মুসলিমগণ যখন মদিনায় আগমন করেন, তখন তাঁরা সম্মিলিত হতেন এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করতেন। এবং নামাজের জন্য কেউ কোনো প্রকারের ঘোষণা দিতেন না। তাই একদিন তাঁরা এই বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। কোনো কোনো সাহাবী বলেছিলেন: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মতো ঘণ্টা বাজানোর ব্যবস্থা করা হোক। আবার কোনো কোনো সাহাবী বলেছিলেন: ইহুদি সম্প্রদায়ের মতো শিঙ্গায় ফুঁ দিয়ে শিঙ্গা বাজানোর ব্যবস্থা করা হোক। ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] বলেছিলেন: নামাজের ঘোষণা দেওয়ার জন্য তোমরা কি একজন মানুষকে প্রেরণ করতে পারছো না? তখন আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছিলেন: “হে বেলাল! উঠে পড়ো এবং নামাজের ঘোষণা দিয়ে দাও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০৪ এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১ -(৩৭৭), তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ বুখারী থেকে নেওয়া হয়েছে]।

আজান ও ইকামত দেওয়ার বিধান

আজান ও ইকামত দেওয়া হলো মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি একটি বাধ্যতামূলক ওয়াজিব বিষয়। তবে তাদের নির্দিষ্ট কোনো একজন ব্যক্তির প্রতি এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ওয়াজিব বিষয় নয়। তাই তারা যদি আজান ও ইকামত না দিয়ে নামাজ পড়ে, তাহলে তাদের নামাজ সঠিক হয়ে যাবে কিন্তু তারা সবাই গুনাগার বা পাপীও হয়ে যাবে।

নামাজের জন্য মুয়াজ্জিন কিভাবে আজান দিবে?

মানুষকে নামাজের জন্য আহ্বান করার উদ্দেশ্যে সুমধুর ধ্বনি দ্বারা উচ্চ স্বরে আজান দেওয়ার বিধান রয়েছে।

আজান দেওয়ার শব্দগুলি হলো

আজান দেওয়ার শব্দগুলি শুনুন

ফজরের আজানে حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ বলার পর মুয়াজ্জিনকে الصلاة خير من النوم দুই বার বলতে হবে।

ইকামত দেওয়ার শব্দগুলি হলো

যে ব্যক্তি আজান শুনবে, সে ব্যক্তি মুয়াজ্জিন তার আজানে যা বলবে, তাই তাকে বলতে হবে

যে ব্যক্তি আজান শুনবে, সে ব্যক্তির জন্য মুয়াজ্জিন যা বলবে, তাই তার পরে পরে বলা মস্তাহাব বা উত্তম। তবে আজানে মুয়াজ্জিন যখন বলবে: "حَيَّ عَلَى الصَّلاةِ، أو حَيَّ عَلَى الفَلاَحِ". (অর্থ: ফরজ নামাজ জামাআতের সহিত আদায় করার জন্য আগমন করুন! এবং দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ অর্জনের জন্য আগমন করুন!) তখন আজান শ্রবণকারী বলবে: "لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِاللهِ". (অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া আমার কার্যসিদ্ধির বা অভিষ্টলাভের কোনো উপায় বা কৌশল নেই এবং কোনো শক্তিও নেই”।) মুয়াজ্জিন আজানে যা বলবে আজান শ্রবণকারী মুসলিম ব্যক্তিও তার পরে পরে তাই বলবে এবং আজানের শেষে আজান শ্রবণকারী নিম্নের দোয়াটি পাঠ করবে: "اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا اَلوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُوْدًا اَلذِّيْ وَعَدْتَهُ". অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি এই পূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠাতব্য নামাজের সত্য অধিকারী। আপনি মুহাম্মাদকে প্রদান করুন আপনার অতি নিকটবর্তী জান্নাতের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান এবং তাঁকে আরো অতি উচ্চ মর্যাদা প্রদান করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাঁকে আরশের উপরে সুপারিশ করার স্থানটিও প্রদান করুন, যেই স্থানটি তাঁকে প্রদান করার অঙ্গীকার আপনি করেছেন”।

আপনি পাঠ্য বিষয়টি সফলভাবে শেষ করেছেন।


পরীক্ষা শুরু করুন