মডেল: বর্তমান বিভাগ
পাঠ্য বিষয় প্রকৃত ইসলাম ধর্মে নারীপুরুষের সংযোগের কতকগুলি বিধিবিধান
প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা সকল জাতির মানব সমাজের জন্য সুখময় জীবন লাভের সমস্ত প্রকারের সরল সঠিক উপকরণ ও সর্বোৎকৃষ্ট জীবন বিধান এবং জীবনাদর্শ সুসজ্জিত। তাই প্রকৃত ইসলাম ধর্মে নারীপুরুষের যোগাযোগ বা সংযোগের সর্বোত্তম বিধিবিধান রয়েছে। যেহেতু মহান আল্লাহ নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের মধ্যে অন্যকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার আর নিজেকে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার উপকরণও সৃষ্টি করেছেন। আর এই আকৃষ্ট করার ও আকৃষ্ট হওয়ার বিষয়টি বিবাহের মাধ্যমে প্রশংসনীয় ও পছন্দনীয় কর্ম হিসেবে পরিগণিত হয়। আর বিবাহ ব্যতীত গায়র মাহরাম নারীপুরুষের সংযোগ হলো অনিষ্টকর ও অমঙ্গলজনক। তাই আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: "ما تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أضَرَّ علَى الرِّجالِ مِنَ النِّساء". (صحيح البخاري, رقم الحديث 5096، واللفظ له، وصحيح مسلم، رقم الحديث 97 - (2740)، ). অর্থ: “আমার পরে আমি পুরুষের জন্য খারাপ নারীর অমঙ্গলের চেয়ে বেশি অনিষ্টকর অন্য কোনো উপাদান রাখিনি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৯৬ এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৭ - (২৭৪০), তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ বুখারী থেকে নেওয়া হয়েছে]।
সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো নারীপুরুষের অবৈধ সংযোগ এবং ব্যভিচারে নিমজ্জিত হওয়া। তাই প্রকৃত ইসলাম ধর্মের পবিত্র শিক্ষা কেবলমাত্র ব্যভিচার নিষিদ্ধ করেনি বরং এর সাথে সাথে ব্যভিচারের শুধু নিকটবর্তী হতে এবং তার ভূমিকায় ও কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া বা লিপ্ত হওয়া থেকেও কঠোরভাবে সতর্ক করেছে। সুতরাং মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلً)، سورة الإسراء، الآية 32. ভাবার্থের অনুবাদ: “আর হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়ো না। কেননা এই আচরণটি হলো অতি জঘন্য পাপ ও খুব খারাপ পন্থা”। (সূরা আল ইসরা (বানী ইসরাঈল), আয়াত নং ৩২)। আর আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: "فالْعَيْنَانِ زِنَاهُما النَّظَرُ، وَالأُذُنَانِ زِنَاهُما الاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا البَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذلكَ الفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ". (صحيح مسلم، رقم الحديث 21- (2657)، واللفظ له، وصحيح البخاري, رقم الحديث 6243). দুই চোখের রুপক বা কাল্পনিক ব্যভিচার হলো প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক বিনা প্রয়োজনে গায়র মাহরাম নারীর দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা, দুই কানের রুপক বা কাল্পনিক ব্যভিচার হলো নারীপুরুষের সঙ্গম সম্পর্কিত অবৈধ কথাবার্তা শ্রবণ করা, জিহ্বার রুপক বা কাল্পনিক ব্যভিচার হলো অবৈধ যৌন সম্ভোগের কথোপকথনে লিপ্ত হওয়া, হাতের রুপক বা কাল্পনিক ব্যভিচার হলো যৌন সংসর্গের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে স্পর্শ করা, পায়ের রুপক বা কাল্পনিক ব্যভিচার হলো অবৈধ যৌন সম্পর্কের ইচ্ছায় হেঁটে যাওয়া। আর হৃদয় কুপ্রবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে এবং আকৃষ্ট হয় ও ব্যভিচারের বাসনা করে। এবং লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে অথবা প্রত্যাখ্যান করে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৭ - (২৬৫৭) এবং সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৪৩, তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ মুসলিম থেকে নেওয়া হয়েছে]।
নারীপুরুষের অনিষ্টকর যোগাযোগের কারণে যেন তাদের মধ্যে কোনো ভয়ানক ও ক্ষতিকর পরিণতি সৃষ্টি না হয়। তাই প্রকৃত ইসলাম ধর্মের পবিত্র শিক্ষা এই ক্ষেত্রে কতকগুলি বিধিবিধান নির্ধারিত করে দিয়েছে। সেই বিধিবিধানগুলির আলোকে নারীপুরুষের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ স্থাপিত হবে শান্তির সহিত। যেমন:- যেমন ক্রয়বিক্রয় করা এবং অন্যান্য লেনদেনের কাজে অংশগ্রহণ করা অথবা প্রয়োজনের খাতিরে মহিলা ডাক্তার না থাকার অবস্থায় পুরুষ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করানো ইত্যাদি। অতএব উক্ত বিধিবিধানগুলির মধ্যে রয়েছে:
দৃষ্টিকে সুসংযত রাখা
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ. وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ)، سورة النور، الآية 30-31. ভাবার্থের অনুবাদ: “হে বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ! তুমি প্রকৃত ইমানদার মুসলিম পুরুষ সমাজকে বলে দাও! তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সুসংযত রাখার প্রতি তৎপর থাকে এবং তাদের লজ্জাস্থানের তারা সংরক্ষণ করে। এই পন্থা অবলম্বন করাই হলো তাদের জন্য অতি পবিত্রতা রক্ষা করার উপাদান। প্রকৃত ইমানদার মুসলিম পুরুষ সমাজের সকল কর্মের বিষয়ে মহান আল্লাহ সম্যক অবগত। হে বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ! তুমি প্রকৃত ইমানদার মুসলিম নারী সমাজকে বলে দাও! তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সুসংযত রাখার প্রতি তৎপর থাকে এবং তাদের লজ্জাস্থানের তারা সংরক্ষণ করে।”। (সূরা আন নূর, আয়াত নং ৩০ - ৩১)।
হাত স্পর্শ না করা বা মুসাফা করা হতে বিরত থাকা।
উম্মুলমুমেনীন আয়েশা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মহিলাদের বাইয়াত বা আনুগত্যের চুক্তি অথবা শপথ গ্রহণের বিবরণ উপস্থাপণ করে বলেন: মহান আল্লাহর শপথ করে বলছি: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাত কোনো দিন কোনো গায়র মাহরাম মহিলার হাত স্পর্শ করেনি। (বুখারী 5288, মুসলিম 1866), মাকিল বিন ইয়সির [রাদিয়াল্লাহু আনহু] বলেন: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যদি কোনো ব্যক্তির মাথায় লোহার সুই দ্বারা খোঁচা দেওয়া হয়, তবুও এটি ভালো, এর চেয়ে যে, সে কোনো গায়র মাহরাম নারীকে স্পর্শ করবে”। (তাবারানী কাবীর, 486, আলবাণী এটিকে সঠিক বলেছেন)।
মাহরাম ছাড়া নারীপুরুষ নিরিবিলিতে অবস্থান না করা
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “মাহরাম ছাড়া কোনো পুরুষ ব্যক্তি কোনো মহিলার সাথে নিরিবিলিতে কখনই অবস্থান করবে না”। (বুখারী 5233, মুসলিম 1341)। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আরো বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে থেকে কোনো পুরুষ ব্যক্তি কোনো মহিলার সাথে মাহরাম ছাড়া নিরিবিলিতে কখনই অবস্থান করবে না। কেননা তাদের সাথে শয়তান তাদের তৃতীয় সাথি থাকবে”। (আহমেদ 115)। সুতরাং মাহরাম ছাড়া নারীপুরুষ নিরিবিলিতে অবস্থান করাই হলো সবচেয়ে ভয়ানক বিপদ। এর কারণে শয়তান নারীপুরুষকে হারাম ও অবৈধ কর্মে নিমজ্জিত করে। মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ যেন কোন মহিলার সাথে নির্জনবাস না করে।
মুসলিম নারীর জন্য কতকগুলি বিশেষ বিধিবিধান রয়েছে। তাই সে যখন প্রয়োজনীয় বিষয়ে গায়র মাহরাম পুরুষদের সাথে লেনদেন করবে, তখন সে উক্ত বিধিবিধানগুলি অবশ্যই মেনে চলবে।
মহান আল্লাহর আদেশ পালন করার উদ্দেশ্যে এবং গায়র মাহরাম পুরুষদের সম্মান লাভের জন্য আর তাদের কুৎসিত কথা ও অশ্লীল কর্মের অমঙ্গল থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য মুসলিম নারীর প্রতি প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক পোশাক পরিধান করা অপরিহার্য। সুতরাং মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوْبِهِنَّ)، سورة النور، الآية 31. ভাবার্থের অনুবাদ: “হে বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ! তুমি প্রকৃত ইমানদার মুসলিম নারী সমাজকে বলে দাও! তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সুসংযত রাখার প্রতি তৎপর থাকে এবং তাদের লজ্জাস্থানের তারা সংরক্ষণ করে। আর সাধারণভাবেই যা প্রকাশ পায় যেমন:- মুখমণ্ডল ও দুই হাত, তা ছাড়া যেন তারা তাদের সৌন্দর্য ও মাধুর্য জনসমক্ষে প্রকাশ না করে। আর তাদের ঘাড় ও বুক যেন তাদের মাথার ওড়না দ্বারা ঢাকা থাকে”। (সূরা আন নূর, আয়াত নং ৩১)। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে আরো বলেছেন: (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)، سورة الأحزاب، الآية 59. ভাবার্থের অনুবাদ: “হে বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ! তুমি তোমার স্ত্রী, কন্যা ও প্রকৃত ইমানদার মুসলিম সমাজের নারীদেরকে বলে দাও: তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ তাদের কপালের উপরে কষে বা শক্ত করে বেঁধে রাখে। এর দ্বারা সহজে তারা ভদ্রা ও শালীন মহিলা হিসেবে পরিগণিতা হতে পারবে এবং কেউ তাদেরকে বিরক্ত বা জ্বালাতন করবে না। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু”। (সূরা আল আহযাব, আয়াত নং ৫৯)।
গায়র মাহরাম পুরুষদের সামনে সুগন্ধি বা আতর ব্যবহার না করা।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: "أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ؛ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا؛ فَهِيَ زَانِيَةٌ". (النسائي: 5126). যখন কোনো নারী সুগন্ধি লাগিয়ে গায়ের মাহরাম জনসমাজের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করবে, যাতে তারা তার সুগন্ধি অনুভব করে, তাহলে সে এর মাধ্য ব্যভিচারের কারণ হয়ে দাঁড়াবে”। [সুনান নাসায়ী, হাদীস নং ৫১২৬। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল আলবাণী হাদীসটিকে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন]।
গায়র মাহরাম পুরুষদের সাথে ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে স্বাভাবিক নিয়মে সোজাসুজি ভাবে কথা বলা উচিত এবং অত্যন্ত কোমল ও সুমধুর স্বরে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বর্জন করা অপরিহার্য
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا)، سورة الأحزاب، الآية 32. ভাবার্থের অনুবাদ: “হে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ এর পত্নীগণ! তোমাদের বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা সাধারণ নারীদের মত নয়। বরং তোমরা অতি উচ্চস্থান ও অতি উচ্চমর্যাদার অধিকারিণী। তাই তোমরা যদি মহান আল্লাহকে সঠিকভাবে মেনে চলার ইচ্ছা রাখো, তাহলে তোমরা গায়র মাহরাম পুরুষদের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে কোনো সময় অত্যন্ত কোমল ও সুমধুর স্বরে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে এমনভাবে কথা বলবে না যে, তাতে অপবিত্র আচরণের মাসুষের হৃদয় তোমাদের প্রতি প্রলুব্ধ ও আকৃষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং তোমরা প্রয়োজনের খাতিরে ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে স্বাভাবিক নিয়মে সোজাসুজি ভাবে গায়র মাহরাম পুরুষদের সাথে কথা বলবে”। (সূরা আল আহযাব, আয়াত নং ৩২)।
শালীনতা ও লজ্জাশীলতার সহিত চলাফেরা করা।
যে সময়ে মূসা [আলাইহিস সালাম] কে শোয়াইবের মেয়ে তার পিতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন, সেই সময়ের বিষয়টি মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন: (فَجَاءَتْهُ إِحْدَاهُمَا تَمْشِي عَلَى اسْتِحْيَاءٍ)، سورة القصص، جزء من الآية 25. ভাবার্থের অনুবাদ: “কিছুক্ষণ পর দুইটি মেয়ের মধ্যে থেকে একটি মেয়ে লজ্জায় জড়সড় হয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হলো”। (সূরা আল কাসাস, আয়াত নং ২৫ এর অংশবিশেষ)। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে আরো বলেছেন: (وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ)، سورة النور، جزء من الآية 31. ভাবার্থের অনুবাদ: “চলাফেরা করার সময় মুসলিম নারীগণ যেন এমনভাবে চলাচল করে, যাতে তারা তাদের পা মাটিতে সজোরে না রাখে এবং তাদের পায়ের অলঙ্কার বা নূপুর ইত্যদির ধ্বনি ও তাদের গোপন সৌন্দর্য গায়র মাহরামের হৃদয়কে আকর্ষিত না করে”। (সূরা আন নূর, আয়াত নং ৩১ এর অংশবিশেষ)।