শিখতে থাকুন

আপনি তো নিবন্ধিত হননি।
শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি এখনই নিবন্ধন করুন, এর দ্বারা আপনার অগ্রগতিকে অঅপনি ধরে রাখতে পারবেন, আপনার সাংকেতিক চিহ্ন বা পয়েন্টগুলির সংখ্যা একত্রিত করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রতিযোগিতায় আপনার প্রবেশের সুযোগ হবে। তাই এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি নিবন্ধিত হন, আপনি সেই পাঠ্য বিষয়গুলিতে একটি বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেট পাবেন, যে পাঠ্য বিষয়গুলির আপনি জ্ঞান লাভ করবেন।

মডেল: বর্তমান বিভাগ

পাঠ্য বিষয় ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস বা ঈমান

ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ‎করা হলো ইমানের অন্যতম একটি স্তম্ভ। এই ‎অনুচ্ছেদে আপনি ফেরেশতাদের তাৎপর্য, তাঁদের কতকগুলি বৈশিষ্ট্য এবং তাঁদের ‎কতকগুলি কর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। ‎

 

  • ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ‎করা এবং তার গুরুত্বের জ্ঞান লাভ করা।
  • ফেরেশতাদের কতকগুলি বৈশিষ্ট্য এবং তাঁদের কতকগুলি কর্মের জ্ঞান লাভ করা।
  • ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ‎করার ফল ও উপকারিতার জ্ঞান লাভ করা।

অন্য একজন ছাত্রকে গণনা করুন। এই পাঠ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ করুন

ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস বা ঈমানের অর্থ:

ফেরেশতাদের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস বা ঈমান স্থাপন করা অপরিহার্য। মানব জগৎ ও জিন জগৎ ব্যতীত ফেরেশতাদের জগৎ একটি আলাদা অদৃশ্য জগৎ। ফেরেশতাগণ হলেন অতিশয় নিষ্ঠাবান ন্যায়পরায়ণ মহাসম্মানিত সত্তার অধিকারী। তাঁরা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনায় ও তাঁর আদেশ পালনে সদাসর্বদা অতি তৎপর। আর তাঁরা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর আদেশ কোনো সময় অমান্য করেন না। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: ) لَا يَعْصُوْنَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ) سورة التحريم، جزء من الآية 6. ভাবার্থের অনুবাদ: “ফেরেশতাগণ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর আদেশ অমান্য করেন না এবং তাঁর আদেশের বিরোধিতাও করেন না আর তাতে কোনো কিছু কমবেশিও করেন না। এবং তাঁদেরকে যা আদেশ করা হয়, তাই সময়মতো অবিলম্বে অতি শীঘ্রই পালন করেন”। (সূরা আত্তাহরীম, আয়াত নং ৬ এর অংশবিশেষ)।

ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস বা ঈমানের গুরুত্ব।

ঈমানের ছয়টি স্তম্ভ রয়েছে, তার মধ্যে ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস বা ঈমান স্থাপন করা হলো একটি ঈমানের অন্যতম স্তম্ভ। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (آمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ)، سورة البقرة، جزء من الآية 285. ভাবার্থের অনুবাদ: “আল্লাহর রাসূল তদীয় প্রতিপালকের পক্ষ হতে তৎপ্রতি যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে, তাতে সে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে প্রকৃত ঈমানদার মুসলিম জাতি। তারা সবাই সঠিক পন্থায় বিশ্বাস স্থাপন করেছে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি”। (সূরা আল্ বাকারা, আয়াত নং ২৮৫ এর অংশবিশেষ)। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ঈমানের বিষয়ে বলেছেন: "أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ". (صحيح مسلم, جزء من رقم الحديث 1- (8),). অর্থ: “ঈমান হলো এই যে, তুমি আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর বার্তাবহ রাসূলগণের প্রতি এবং মৃত্যুবরণের পর পরকালের শেষ দিবসে পুনরুত্থিত হওয়ার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। আর ভাগ্যের মঙ্গল ও অমঙ্গলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১ - (৮) এর অংশবিশেষ]

ফেরেশতাদের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস বা ঈমান স্থাপন করা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির অপরিহার্য কর্তব্য। তাই যে ব্যক্তি ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস বা ঈমান প্রত্যাখ্যান করবে, সে ব্যক্তি বিপথগামী ও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। সুতরাং মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে আরো বলেছেন: (وَمَن يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا)، سورة النساء، جزء من الآية 136. ভাবার্থের অনুবাদ: “আর যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর ঐশী বাণীর গ্রন্থসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থায় পরকালের জীবন লাভের প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করবে, সে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি পথভ্রষ্ট ও বিপথগামী হবে”। (সূরা আন নিসা, আয়াত নং ১৩৬ এর অংশবিশেষ)। অতএব ঈমানের এই সমস্ত স্তম্ভ যে ব্যক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে, সে ব্যক্তির প্রতি অমুসলিম হওয়ার বিষয়টিকে নির্ধারিত করা হয়েছে।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “আকাশে অগণন ফেরেশতা থাকার কারণে, তা বেশি ভারী হয়ে গেছে। যেহেতু আকাশের মাঝে অর্ধ হাত পরিমাণও স্থান নেই যে, সেখানে কোনো ফেরেশতা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর উপাসনার জন্য দণ্ডায়মান অবস্থায় বা রুকুর অবস্থায় অথবা সিজদার অবস্থায় নেই”।

ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপনের সাথে কি কি বিষয় সংশ্লিষ্ট আছে?

١
ফেরেশতাদের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস বা ঈমান: আমরা ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবো এবং তাঁরা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর সৃষ্টিজগতের অন্তর্ভুক্ত। তাই আমরা তাঁদের অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস বা ঈমান রাখবো।
٢
যে সমস্ত ফেরেশতার নাম আমরা জানতে পেরেছি, যেমন:- মহাফেরেশতা জিবরীল [আলাইহিস সালাম], সে সমস্ত ফেরেশতার প্রতি সুনির্দিষ্টভাবে তাঁদের নামসহ তাঁদের প্রতি বিশেষ করে ঈমান রাখবো ও বিশ্বাস স্থাপন করবো। আর যে সমস্ত ফেরেশতার নাম আমরা জানতে পারিনি, সে সমস্ত ফেরেশতার প্রতি সাধারণভাবে এবং সংক্ষেপে আমরা ঈমান রাখবো ও বিশ্বাস স্থাপন করবো।
٣
যে ফেরেশতার যে বৈশিষ্ট্য আমরা জানতে পেরেছি, সে ফেরেশতার সেই বৈশিষ্ট্যের আমরা ঈমান রাখবো ও বিশ্বাস স্থাপন করবো।
٤
প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর আদেশে যে সমস্ত ফেরেশতা যে সব কর্ম সম্পাদন করেন, সে সব কর্ম সম্পাদনের প্রতি আমরা ঈমান রাখবো ও বিশ্বাস স্থাপন করবো।

যে সমস্ত ফেরেশতার প্রতি আমাদের ইমান বা বিশ্বাস আছে, সে সমস্ত ফেরেশতার ‎কতকগুলি বৈশিষ্ট্য। ‎

١
ফেরেশতাদের জগৎ একটি আলাদা অদৃশ্য জগৎ।‏ ‏তাঁরা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য ‎মহান আল্লাহর সৃষ্টিজগতের অন্তর্ভুক্ত।‏ ‏তাঁরা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান ‎আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনায় ও তাঁর আদেশ পালনে সদাসর্বদা অতি তৎপর। ‎তাদের মধ্যে প্রতিপালক ও উপাস্য হওয়ার কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। তাঁরা একান্তভাবে ‎প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর বশ্যতা স্বীকারকারী বাধ্য ও অনুগত ‎সৃষ্টি। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন:‎ ‎) ‎لَا يَعْصُوْنَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ) سورة التحريم، جزء من الآية 6. ‏ ভাবার্থের অনুবাদ: “ফেরেশতাগণ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর ‎আদেশ অমান্য করেন না এবং তাঁর আদেশের বিরোধিতাও করেন না আর তাতে ‎কোনো কিছু কমবেশিও করেন না। এবং তাঁদেরকে যা আদেশ করা হয়, তাই ‎সময়মতো অবিলম্বে অতি শীঘ্রই পালন করেন”। (সূরা আত্তাহরীম, আয়াত নং ৬ ‎এর অংশবিশেষ)।
٢
ফেরেশতাদের জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: ‎ ‏"خُلِقَتِ المَلاَئِكَةُ مِنْ نُوْرٍ ". ‏ ‏(صحيح مسلم، رقم الحديث 60 - (2996)، ).‏ অর্থ: “ফেরেশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে”। ‎ ‎ [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬০ - (২৯৯৬)]। ‎
٣
ফেরেশতাদের ডানা বা পালক রয়েছে। প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহ ‎বিভিন্ন প্রকারের এবং বিভিন্ন সংখ্যায় ফেরেশতাদের পালক তৈরী করেছেন। সুতরাং ‎মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন:‎‏ ‏ ‏(الْحَمْدُ لِلهِ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ جَاعِلِ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا أُولِيْ أَجْنِحَةٍ مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ يَزِيْدُ فِي الْخَلْقِ مَا ‏يَشَاءُ إِنَّ اللهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ)، سورة فاطر، الآية 1. ‏ ভাবার্থের অনুবাদ: “সমস্ত প্রশংসা আকাশ ও পৃথিবীর প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য ‎মহান আল্লাহর জন্য, যিনি ফেরেশতাদেরকে বার্তাবাহক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, যারা ‎দুই দুই, তিন তিন বা চার চার পক্ষবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টি জগতে যা ইচ্ছা বৃদ্ধি করেন। ‎মহান আল্লাহ সমস্ত ক্ষেত্রে সর্বময় ক্ষমতার প্রকৃত অধিকারী”। ‎(সূরা ফাতির, আয়াত নং ১)। ‎

প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের জন্য কতকগুলি কর্তব্য ও ‎কর্ম নির্ধারিত করে দিয়েছেন। সেই সমস্ত কর্তব্য ও কর্মের মধ্যে রয়েছে:‎

١
ফেরেশতাগণের মধ্যে একজন অতি উৎকৃষ্ট ফেরেশতার নাম হলো জিবরীল। মহান ‎আল্লাহর প্রত্যাদেশের বাণী বার্তাবহ রাসূলগণের নিকট পৌঁছানো দায়িত্ব এই মহা ‎ফেরেশতা জিবরীলের প্রতি ন্যস্ত আছে।
٢
মালাকুল মাউত ফেরেশতা এবং তাঁর সহকর্মী ও সহযোগী অনেক ফেরেশতা মৃত্যু ‎ঘটানোর জন্য রূহ কবজ করার দায়িত্বে নিযুক্ত আছেন।
٣
প্রত্যেকটি মানুষের দৈনন্দিন কার্যের বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করার কাজে কতকগুলি ‎সম্মানিত ফেরেশতা নিযুক্ত আছেন। তাঁরা হলেন কিরামান কাতিবিন।

আমরা প্রায়ই কোনো একটি নির্দিষ্ট দুর্ঘটনা থেকে কোনো মানুষকে বেঁচে থাকা দেখে ‎আশ্চর্য হই.. তাই আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে, ককগুলি ফেরেশতার ‎একটি কাজ হলো মহান আল্লাহর আদেশক্রমে মানুষকে ধ্বংসাত্মক বিপদ থেকে ‎রক্ষা করা।

ফেরেশতাদের প্রতি ইমান বা বিশ্বাস স্থাপন করার মধ্যে প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ‎ব্যক্তির জীবনের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। সেই সমস্ত উপকারিতার ‎মধ্যে রয়েছে: ‎

١
প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর মহত্ত্ব তাঁর শক্তি এবং তাঁর সর্বময় ‎ক্ষমতার প্রকৃত অধিকারী হওয়ার জ্ঞান লাভ করা হয়। যেহেতু সৃষ্টির মহত্ত্বই হলো ‎সৃষ্টিকর্তার মহত্ত্বের নিদর্শন। তাই প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তির হৃদয়ে প্রকৃত ‎সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর সম্মান ও মহত্ত্ব বৃদ্ধি পায়; কেননা তিনিই তো ‎ফেরেশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করেন পক্ষবিশিষ্ট বা পাখাযুক্ত করে।
٢
প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর ‎সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সত্যপথে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। সুতরাং যে ব্যক্তি ‎এটা বিশ্বাস করবে এবং এটার প্রতি ইমান রাখবে যে, তার দৈনন্দিন কার্যের বিশদ ‎বিবরণ ফেরেশতাগণ লিপিবদ্ধ করছেন, সে ব্যক্তি নিশ্চয় প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য ‎উপাস্য মহান আল্লাহকে ভয় করবে আর তাঁকে প্রকাশ্যে ও গোপনে কোনো অবস্থায় ‎অমান্য করে পাপের কাজে লিপ্ত হবে না। ‎
٣
প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর উপাসনায় ও আরাধনায় ‎প্রকৃত ‎ইমানদার মুসলিম ব্যক্তি ওই সময় ধৈর্যধারণ করবে এবং সুখশান্তি ও আনন্দ ‎অনুভব ‎করবে, যখন সে বিশ্বাস করবে এবং ইমান রাখবে যে, তার সাথে সাথে ‎এই বিশাল ‎মহাবিশ্বের মধ্যে অগণন ফেরেশতা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান ‎আল্লাহর ‎উপাসনায় ও আরাধনায় সর্বোত্তম অবস্থায় এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থায় নিয়োজিত ‎আছেন।
٤
প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। যেহেতু ‎তিনি ‎মানুষকে ধ্বংসাত্মক বিপদ থেকে রক্ষা করার কাজে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে ‎সংরক্ষণের ‎কাজে কতকগুলি ফেরেশতাকে নিযুক্ত করে রেখেছেন।

আপনি পাঠ্য বিষয়টি সফলভাবে শেষ করেছেন।


পরীক্ষা শুরু করুন