শিখতে থাকুন

আপনি তো নিবন্ধিত হননি।
শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি এখনই নিবন্ধন করুন, এর দ্বারা আপনার অগ্রগতিকে অঅপনি ধরে রাখতে পারবেন, আপনার সাংকেতিক চিহ্ন বা পয়েন্টগুলির সংখ্যা একত্রিত করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রতিযোগিতায় আপনার প্রবেশের সুযোগ হবে। তাই এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি নিবন্ধিত হন, আপনি সেই পাঠ্য বিষয়গুলিতে একটি বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেট পাবেন, যে পাঠ্য বিষয়গুলির আপনি জ্ঞান লাভ করবেন।

মডেল: বর্তমান বিভাগ

পাঠ্য বিষয় নামাজের রুকনসমূহ এবং ওয়াজিবসমূহ

এই অনুচ্ছেদ আমরা জানতে পোরবো নামাজের রুকনসমূহ, ওয়াজিবসমূহ, নামাজ বিনষ্টকারী বিষয়াদি এবং নামাজের মধ্যে অপছন্দনীয় বা মাকরুহ বিষয়াদি।

  • নামাজের রুকনসমূহের জ্ঞান লাভ করা।
  • নামাজের ওয়াজিবসমূহের জ্ঞান লাভ করা।
  • নামাজ বিনষ্টকারী বিষয়াদি জানা।
  • নামাজে সহো সিজদারনিয়ম জানা।
  • নামাজে অপছন্দনীয় বা মাকরুহ বিষয়াদির জ্ঞান লাভ করা।

অন্য একজন ছাত্রকে গণনা করুন। এই পাঠ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ করুন

নামাজের রুকনসমূহ

নামাজের রুকনসমূহ ওই সমস্ত বিষয়কে বলা হয়, যে সমস্ত বিষয় ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।

নামাজের রুকনসমূহ

١
তাকবিরে তাহরিমা অর্থাৎ আল্লাহু আকবর বলে নামাজে প্রবেশ করা।
٢
সামর্থ থাকলে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
٣
সূরা ফাতিহা পাঠ করা।
٤
রুকু করা।
٥
রুকু থেকে সোজা হয়ে উঠা।
٦
সিজদা করা।
٧
দুই সিজদার মাঝে স্থিরভাবে হয়ে বসা।
٨
শেষ তাশাহহুদ পড়া ও তার জন্য বসা।
٩
স্থিরতা ও প্রশান্তি বজায় রাখা।
١٠
সালাম ফিরানো।
١١
নামাজের রুকনসমূহের ধারাবাহিকতা

নামাজের ওয়াজিবসমূহ

নামাজের ওয়াজিবসমূহ ওই সমস্ত বিষয়কে বলা হয়, যে সমস্ত বিষয় ইচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে তা পূর্ণ করতে হয় এবং সহো সিজদা করতে হয়।

নামাজের ওয়াজিবসমূহ

١
তাকবিরে তাহরিমা ছাড়া সমস্ত তাকবির।
٢
কমপক্ষে একবার «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ» ‘সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম’ বলা।
٣
ইমাম ও একাকী নামাজ আদায়কারী রুকু থেকে উঠার সময় «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলা।
٤
সকলের জন্য «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’ পড়া।
٥
সিজদায় «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى» ‘সুবাহানা রাব্বিয়াল ‘আ‘লা’ কমপক্ষে একবার পড়া।
٦
দুই সিজদার মাঝে «رَبِّ اغْفِرْ لِي» ‘‘রাব্বিগ ফিরলী’’ (হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন) কমপক্ষে একবার পড়া।
٧
প্রথম তাশাহহুদ পড়া ও জন্য বসা।

নামাজের মধ্যে এই সমস্ত ওয়াজিব অনিচ্ছাকৃতভাবে বা ভুলবশত ছুটে গেলে তার পরিবর্তে সহো সিজদা করলেই যথেষ্ট হবে।

নামাজের সুন্নাতসমূহ

নামাজের মধ্যে নামাজের রুকনসমূহ এবং ওয়াজিবসমূহ ছাড়া যে সমস্ত বাক্য ও কর্ম রয়েছে, সে সমস্ত বাক্য ও কর্ম নামাজের সুন্নাতের মধ্যে পড়ছে। এই সমস্ত সুন্নাতের দ্বারা নামাজ সুন্দর ও পরিপূর্ণ হয়। তাই নামাজের সুন্নাতের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। তবে নামাজের কোনো সুন্নাত ছুটে গেলে নামাজ নষ্ট হয় না।

সহো সিজদার নিয়ম

নামাজের অবস্থায় নামাজের ভুলভ্রান্তি দূরীকরণের জন্য তাকবীর দিয়ে পরপর দুইটি সিজদা করা।

নামাজে কখন সহো সিজদা করা শরিয়ত সম্মত বিষয় হবে?

١
মুসল্লি বা নামজি ব্যক্তি নামাজ পড়তে পড়তে নামাজের মধ্যে যখন ভুল বা ত্রুটির কারণে বেশি রুকু বা সিজদা করবে অথবা দণ্ডায়মান হবে কিংবা বসে যাবে, তখন সে সহো সিজদা করবে।
٢
মুসল্লি বা নামজি ব্যক্তি নামাজের মধ্যে যখন নামাজের কোনো রুকন ভুল বা ত্রুটির কারণে ছেড়ে দিবে, তখন তাকে সেই রুকন সম্পূর্ণরূপে সম্পাদন করতে হবে, তারপরে নামাজের শেষে তাকে সহো সিজদা করতে হবে।
٣
মুসল্লি বা নামজি ব্যক্তি নামাজের মধ্যে যখন নামাজের কোনো ওয়াজিব বিষয় ভুল বা ত্রুটির কারণে ছেড়ে দিবে, যেমন:- দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, কোনো ব্যক্তি যখন প্রথম তাশাহহুদ ভুল বা ত্রুটির কারণে ছেড়ে দিবে, তখন তাকে সহো সিজদা করতে হবে।
٤
মুসল্লি বা নামজি ব্যক্তি নামাজ পড়তে পড়তে নামাজের মধ্যে যখন রাকাআতের সংখ্যায় সন্দেহ পোষণ করবে, তখন সে নিশ্চিত রাকাআতের সর্বনিম্ন সংখ্যা গণ্য করবে এবং সহো সিজদা করবে।

সহো সিজদা করার বিবরণ

সিজদা করার সময়

١
মুসল্লি বা নামজি ব্যক্তি নামাজের সালাম ফিরানোর পূর্বে দুইটি সহো সিজদা করবে তারপর সালাম ফিরাবে।
٢
মুসল্লি বা নামজি ব্যক্তি নামাজের সালাম ফিরানোর পর দুইটি সহো সিজদা করবে। তারপর আবার সালাম ফিরাবে।

নামাজ বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ

নির্দিষ্ট কতকগুলি বিষয়ের কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং মুসল্লি বা নামজি ব্যক্তি নামাজের মধ্যে নির্দিষ্ট কতকগুলি কাজ করলে, তার নামজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে।

নামাজ বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ

١
নামাজ পড়ার অবস্থায় সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও অকারণে ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ‎নামাজের কোনো ‎একটি রুকন অথবা শর্ত ছেড়ে দেওয়ােএবং সতর্কিত করার পর সেটা পূরণ না করা। ‎
٢
ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজের কোনো ওয়াজিব বিষয় ছেড়ে দেওয়া।
٣
ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বলা
٤
সশব্দে জোরে হাসি দেওয়া। ‎
٥
নামাজ পড়ার অবস্থায় অকারণে ধারাবাহিকভাবে নড়াচড়া করা।

নামাজের মধ্যে ‎করুহ বা অপছন্দনীয় বিষয়সমূহ।

নামাজের মকরুহ বা অপছন্দনীয় বিষয়সমূহ হলো ওই সমস্ত কর্ম যে সমস্ত কর্ম ‎নামাজের সওয়াব কম করে দেয় এবং তার বিনম্রতা ও মর্যাদা নষ্ট করে দেয়। ‎

নামাজ পড়ার অবস্থায় মুখ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডানে ‎বামে তাকানো বা ‎দৃষ্টিপাত করা।

এই জন্য যে, একদা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] কে নামাজের মধ্যে মুখ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডানে বামে নড়াচড়া করে তাকানোর ‎বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো। তাই তিনি তার উত্তরে বছিলেন: “এটা হলো ‎শয়তানের ছোঁ মারা, সে মানুষের নামাজের বিনম্রতার কিছু অংশ ছোঁ মেরে ছিনিয়ে ‎নিয়ে যায় ও নষ্ট করে”। (বুখারী 751)‎

নামাজ পড়ার অবস্থায় হাত এবং মুখ বা দেহের অন্য অংশ নিয়ে অসার বা অনর্থক ‎আচরণে লিপ্ত হওয়া।

কোমরে বা কটিদেশে হাত রাখা, আঙ্গুলগুলি একত্র করে চাপা এবং আঙ্গুলগুলি ‎ফোটানো। ‎

এমন অবস্থায় নামাজে প্রবেশ করা, যে সেই অবস্থায় মন বা অন্তর অন্য কাজে ব্যস্ত ‎আছে।‎

সুতরাং মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজনের সময় এবং খিদার সময় খাবার সামনে থাকার ‎অবস্থায় নামাজ পড়া মকরুহ বা অপছন্দনীয় কাজ। যেহেতু আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “খাবার সামনে আসার পর ‎কোনো নামাজ নেই এবং মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজনের বেগ থাকা অবস্থায় কোনো ‎নামাজ নেই”। (মুসলিম 560)।

আপনি পাঠ্য বিষয়টি সফলভাবে শেষ করেছেন।


পরীক্ষা শুরু করুন