মডেল: বর্তমান বিভাগ
পাঠ্য বিষয় শিরোনাম: নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার নিষিদ্ধ সময়
সাধারণভাবে সমস্ত সময়ে নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়া জায়েজ। তবে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার কিছু নিষিদ্ধ সময় রয়েছে। এর কারণ হলো এই যে, অমুসলিম সমাজের অনেক মানুষ সেই সব সময়ে উপাসনা করতে থাকে। তাই সেই সব সময়ে সাধারণভাবে নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু সেই সব নিষিদ্ধ সময়ে ফরজ নামাজ কাজা করা চলবে এবং ওই সমস্ত নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়া জায়েজ হবে, যে সমস্ত নফল কিংবা সুন্নাত নামাজের সংযোগ রয়েছে কোনো কারণের সঙ্গে, যেমন:- দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, মাসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকাআত নামাজ পড়া বৈধ। তবে হ্যাঁ একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, নিষিদ্ধ সময়ের বিষয়টি সাধারণ নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার সাথে সংযুক্ত রয়েছে। অতএব প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহকে সেই সব নিষিদ্ধ সময়ে এবং সদাসর্বদা স্মরণ করা ও তাঁর কাছে প্রার্থনা বা দোয়া করা বৈধ।
প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার প্রথম নিষিদ্ধ সময় হলো: ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যোদয়ের প্রায় 20 মিনিট পর পর্যন্ত। এই বিষয়টিকে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক বলা হয়: সূর্যোদয়ের পর এক বর্শার মতো যখন সূর্য আকাশে উঠবে, তখন নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার নিষিদ্ধ সময় শেষ হয়ে যাবে। এই বিধানটি ওই সমস্ত দেশ বা অঞ্চলের প্রতি প্রযোজ্য, যে সমস্ত দেশ বা অঞ্চল নাতিশীতোষ্ণ বা বেশি ঠাণ্ডাও নয় বা বেশি গরমও নয়।
প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার দ্বিতীয় নিষিদ্ধ সময় হলো: দুপুরের সময় সূর্য যখন আকাশে মাথার উপরে অবস্থিত হয়, তখন নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়া নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এবং সূর্য যখন মাথার উপর থেকে পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে, তখন এই নিষিদ্ধ সময় শেষ হয়ে যায় এবং জোহরের নামাজের সময় শুরু হয়ে যায়। আর এই দ্বিতীয় নিষিদ্ধ সময়ের সীমা অতি অল্প।
প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক নফল কিংবা সুন্নাত নামাজ পড়ার তৃতীয় নিষিদ্ধ সময় হলো: আসর নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।