শিখতে থাকুন

আপনি তো নিবন্ধিত হননি।
শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি এখনই নিবন্ধন করুন, এর দ্বারা আপনার অগ্রগতিকে অঅপনি ধরে রাখতে পারবেন, আপনার সাংকেতিক চিহ্ন বা পয়েন্টগুলির সংখ্যা একত্রিত করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রতিযোগিতায় আপনার প্রবেশের সুযোগ হবে। তাই এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি নিবন্ধিত হন, আপনি সেই পাঠ্য বিষয়গুলিতে একটি বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেট পাবেন, যে পাঠ্য বিষয়গুলির আপনি জ্ঞান লাভ করবেন।

মডেল: বর্তমান বিভাগ

পাঠ্য বিষয় আত্মার মধ্যে থেকে ভুল বিশ্বাস বা মিথ্যা বিশ্বাসের উৎপাটন।

প্রকৃত ইসলাম একটি স্বাভাবিক ও সঠিক বুদ্ধি সম্মত ধর্ম। তাই এই পবিত্র ধর্ম ‎ভুল বিশ্বাস বা মিথ্যা বিশ্বাসের উৎপাটন করে এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ‎যেহেতু মানব জাতির ভুল বিশ্বাস বা মিথ্যা বিশ্বাস এবং কুসংস্কার তাদের ইহকাল ও ‎পরকালের জীবনকে ধ্বংস করে। ‎

  • ভুল বিশ্বাস বা মিথ্যা বিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিষয়ে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের মতবাদ জানা।
  • ভুল বিশ্বাস বা মিথ্যা বিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিষয়ে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের বিধিবিধান জানা।

অন্য একজন ছাত্রকে গণনা করুন। এই পাঠ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ করুন

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মাধ্যমে ‎প্রকৃত ইসলামের আবির্ভাব হওয়ার পূর্বে, আরব জাতি এবং সাধারণভাবে সমস্ত মানব ‎জাতি কাল্পনিক ভিত্তিহীন মনগড়া মিথ্যা বিভ্রম কাহিনীর ফাঁদে বন্দী ছিলো। তাই সারা ‎পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল কাল্পনিক ভিত্তিহীন মনগড়া মিথ্যা বিভ্রম। আর এতে থেকে ‎কোনো জাতি মুক্তি পায়নি। তাই প্রকৃত ইসলামের আবির্ভাব হওয়ার সময় আরব ‎জাতিও পবিত্র কুরআনকে এই ধরণের কাহিনী বা জাদু মনে করতো। ‎ ‎

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মাধ্যমে ‎প্রকৃত ইসলাম ধর্ম যখন জ্যোতি ও সুপথ নিয়ে আগমন করলো, তখন মানুষের বুদ্ধিকে ‎কাল্পনিক ভিত্তিহীন মনগড়া মিথ্যা বিভ্রম কাহিনী ও কুসংস্কারের জাল থেকে মুক্ত করলো ‎এমন কতকগুলি বিধিবিধানের মাধ্যমে, যে সমস্ত বিধিবিধান মানুষের বুদ্ধি ও আত্মাকে ‎পবিত্র রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে এবং প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য এক আল্লাহ ‎ছাড়া অন্যের প্রতি আস্থা রাখার বিষয়টিকে রহিত করে দিয়েছে। আর সেই সমস্ত ‎বিধিবিধানের মধ্যে রয়েছে:‎

যাদু ও বাণের উৎপাটন: ‎

প্রকৃত ইসলাম ধর্ম যাদু করা বা বাণ মারা ও যাদুবিদ্যা অর্জন করা এবং সকল ‎প্রকারের ‎গণৎকারী করা বা জ্যোতিষগিরি করা হারাম করে দিয়েছে। আর এই সব ‎আচরণকে প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য এক আল্লাহর অংশীদার স্থাপন করা এবং ‎পথভ্রষ্টতার বিভাগ হিসেবে নির্ধারিত করে দিয়েছে। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম এটাও জনিয়ে ‎দিয়েছে যে, জাদুগর বা যে যাদু করে, সে ইহকাল ও পরকালে পরিত্রাণ পাবে না। তাই ‎মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন:‎ ‏(وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى) (طه: 69).‏ ভাবার্থের অনুবাদ: “আর জাদুগর বা যে যাদু করে, সে কখনো কোনো স্থানে পরিত্রাণ ‎পাবে না ”। (সূরা তাহা, আয়াত নং ৬৯ এর অংশবিশেষ)।

প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তির জন্য জাদুকর ও জ্যোতিষী বা গণৎকারের কাছে ‎যাওয়া, তাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসা করা, তাদের কাছে আরোগ্য বা সুস্থতা চাওয়া, তাদের ‎কাছে চিকিৎসা করা এবং তাদের কাছে কোনো সমস্যার সমাধান প্রার্থনা করা সদাসর্বদা ‎হারাম ও না জায়েজ। আর যে ব্যক্তি এই সব কাজ করবে, সে ব্যক্তির বিষয়ে বলা ‎হয়েছে যে, আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ‎এর প্রতি যে প্রকৃত ইসলাম ধর্ম অবতীর্ণ করা হয়েছে, সে তা অবিশ্বাস ও প্রত্যাখ্যান ‎করেছে। যেহেতু সকল প্রকারের মঙ্গল ও অমঙ্গল প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান ‎আল্লাহর হাতেই রয়েছে। আর তিনি ছাড়া অদৃশ্য বিষয়ে কেউ কিছু জানে না। তাই ‎আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: ‎‎“যে ব্যক্তি কোনো জ্যোতিষী বা গণৎকারের কাছে যাবে এবং তার কোনো কথা বিশ্বাস ‎করবে, আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ‎প্রতি যে প্রকৃত ইসলাম ধর্ম অবতীর্ণ করা হয়েছে, সে তা অবিশ্বাস ও প্রত্যাখ্যান ‎করেছে। (মুসতাদরাক আল-হাকিম: ১৫)।

সকল প্রকারের মঙ্গল ও অমঙ্গল প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর হাতেই ‎রয়েছে।

প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহ পরিষ্কার করে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ‎যে, সৃষ্টি জগতের সকল প্রকারের মানুষ, জিন, গাছ, পাথর এবং নক্ষত্র যদিও সেগুলি ‎বিশাল আকারের হয়, সবই প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর মহত্ত্বের ‎নিদর্শন বহনকারী বস্তু। আর এই মহাবিশ্বেকে পরিচালিত করার অলৌকিক ক্ষমতা নেই ‎কোনো মানুষের। অতএব সৃষ্টি করা, মহাবিশ্ব পরিচালিত করা, সর্ববিষয়ে ক্ষমতা ‎প্রয়োগ করা এবং সৃষ্টি জগতের সমস্ত বিষয়ের রক্ষনাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করা হয় ‎প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর আদেশের মাধ্যমে। তাই মহান আল্লাহ ‎পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন:‎ ‎ ‎‏(أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ تَبَارَكَ اللهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ) (الأعراف: 54).‏ ভাবার্থের অনুবাদ: “হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা সবাই জেনে রাখো! সত্য ‎উপাস্য মহান আল্লাহই সমস্ত সৃষ্টি জগতের প্রকৃত প্রভু ও সৃষ্টিকর্তা এবং মহাবিশ্ব ‎পরিচালনার আদেশ প্রদানকারী তিনিই কেবলমাত্র। সুতরাং প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য ‎মহান আল্লাহই মঙ্গলময় সব জগতের প্রতিপালক”। (আল-আরাফ : 54)।

আর যে ব্যক্তি এই সমস্ত সৃষ্টি জগতের প্রতি এবং সেগুলির সুশৃঙ্খলা ও সুনিয়ন্ত্রিত ‎ব্যবস্থার প্রতি ঐকান্তিকভাবে গভীর চিন্তা ও গবেষণা করবে, সে জানতে পারেবে যে, ‎এইগুলির প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা হলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সত্য প্রতিপালক মহাবিশ্বের ‎প্রধান পরিচালক। সুতরাং সমস্ত প্রকারের উপাসনা ঐকান্তিকভাবে তাঁরই ‎জন্য নিবেদিত, সম্পাদিত ও অনুষ্ঠিত করা অপরিহার্য। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো ‎বস্তু বা ব্যক্তির জন্য কোনো প্রকারের উপাসনা নিবেদিত, সম্পাদিত ও অনুষ্ঠিত করা ‎বৈধ নয়। আর কেবলমাত্র তিনিই সত্য উপাস্য প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ। আর ‎তিনি ব্যতীত সব কিছুই তাঁরই সৃষ্ট। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে ‎বলেছেন:‎ ‏(وَمِنْ آيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ ۚ لَا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ ‏تَعْبُدُونَ)، سورة فصلت، الآية 37. ‏ ভাবার্থের অনুবাদ: “এবং সেই প্রকৃত একক সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহরই সৃষ্টির ‎নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে রাত, দিন, সূর্য ও চন্দ্র; অতএব প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ‎সাথে অথবা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে বাদ দিয়ে চন্দ্র ও সূর্যের তোমরা উপাসনা ‎করবে না, উপাসনা করবে তোমরা কেবলমাত্র সেই সত্য উপাস্য সৃষ্টিকর্তা মহান ‎আল্লাহর, যিনি সৃষ্টি করেছেন এইগুলিকে, যদি তোমরা প্রকৃতপক্ষে কেবল তাঁরই ‎উপাসনা করতে ইচ্ছুক হও, তবে”। (সূরা (ফুস্সিলাত) হা-মীম সাজদা, আয়াত নং ‎৩৭)।

প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে অদৃশ্যের ও ভবিষ্যতের ‎কোনো জ্ঞান নেই।

প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহ পরিষ্কার করে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ‎যে, তিনি ছাড়া অদৃশ্যের ও ভবিষ্যতের জ্ঞান কেউ রাখে না। সুতরাং যে সব জ্যোতিষী ‎বা গণৎকার অদৃশ্যের জ্ঞান রাখে বলে দাবি করে, তারা আসলে মিথ্যুক বা মিথ্যাবাদী; ‎তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন:‎ ‏(وَعِنْدَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ) (الأنعام: 59).‏ ভাবার্থের অনুবাদ: “এবং প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর কাছেই সকল ‎প্রকার অদৃশ্যের জ্ঞান ভাণ্ডারের চাবিকাঠি রয়েছে”। (সূরা আনআম : ৫৯)।

বরং আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যিনি ‎সৃষ্টি জগতের মধ্যে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বোৎকৃষ্ট এবং সর্বোত্তম মানুষ, তিনিই তো ‎নিজের কল্যাণ এবং অকল্যাণের মালিক নন এবং তিনি তো অদৃশ্যের ও ভবিষ্যতের ‎কোনো জ্ঞান রাখতেন না। সুতরাং তাঁর চেয়ে যাদের সম্মান ও মর্যাদা কম, তারা ‎কিভাবে অদৃশ্যের ও ভবিষ্যতের জ্ঞানের অধিকারী হতে পারবে!? তাই মহান আল্লাহ ‎পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন:‎ ‏:(قُلْ لَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَاءَ اللهُ وَلَوْ كُنْتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ إِنْ أَنَا إِلَّا ‏نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ) (الأعراف: 188).‏ ভাবার্থের অনুবাদ: “হে বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ! তুমি বলে দাও, আমি আমার ‎নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর ‎আমি যদি অদৃশ্যের জ্ঞান রাখতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতাম, ফলে আমার ‎কোন অমঙ্গল কখনও হতো না। আমি তো শুধুমাত্র একজন আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল। ‎অমুসলিমদেরকে জাহান্নামের বা নরকের শাস্তি হতে ভয় প্রদর্শনকারী এবং প্রকৃত ‎ইমানদার মুসলিম সমাজের জন্য জান্নাতের বা স্বর্গের সুসংবাদদাতা”। (সূরা আরাফ: ‎‎188)।

প্রকৃত ইসলাম ধর্মে কুলক্ষণ এবং নৈরাশ্যে নিমজ্জিত হওয়া হারাম।

প্রকৃত ইসলাম ধর্ম কোনো বস্তু, কোনো রঙ, কোনো কথা ইত্যাদিকে কুলক্ষণ বা অশুভ ‎লক্ষণযুক্ত বলে ধারণা করা এবং কোনো বস্তু, কোনো রঙ, কোনো কথা ইত্যাদির ‎কারণে নৈরাশ্যে নিমজ্জিত হওয়া হারাম করে দিয়েছে। তবে হ্যাঁ! প্রকৃত ইসলাম ধর্মে ‎সুলক্ষণ বা শুভ লক্ষণ ও ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে কোনো সাফল্যসূচক ‎বা ভলো বস্তুকে গ্রহণ করা বৈধ। ‎

কুলক্ষণ বা অশুভ লক্ষণযুক্ত বলে ধারণা করার উদাহরণ হলো এই যে, কোনো ব্যক্তি ‎তার সফর বা ভ্রমণ শুরু করার সময়ে যখন কোনো পাখি দেখতে পায় অথবা কোনো ‎আওয়াজ শুনতে পায়, তখন সেটাকে সে কুলক্ষণ বলে মনে করে। এবং সেই কারণে ‎অনেক সময়ে সে সফর বা ভ্রমণ শুরু করা স্থগিত বা মুলতবি রাখে। এই ধরণের ‎আচরণকে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ‎আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করার কাজ বলে আখ্যাত করেছেন। সুতরাং তিনি ‎বলেছেন:‎ ‏"الطيرة شرك" (أبو داود 3910، ابن ماجه 3538)‏ অর্থ: “কোনো কিছুকে কুলক্ষণ বা অশুভ লক্ষণযুক্ত বলে ধারণা করা হলো আল্লাহর ‎সাথে অংশীদার স্থাপন করার একটি কাজ”। (আবু দাউদ 3910, ইবনে মাজাহ ‎‎3538)। আর এটি এই জন্য যে, এই ধরণের আচরণ প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তির সঠিক ও ‎মজবুত বিশ্বাস বা ইমানের বিপরীত আচরণ। কেননা প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তির ‎সঠিক ও মজবুত বিশ্বাস বা ইমান মোতাবেক কেবলমাত্র প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য ‎মহান আল্লাহই হলেন মহাবিশ্বের অধিপতি ও পরিচালক, আর তিনি ছাড়া অদৃশ্যের ও ‎ভবিষ্যতের জ্ঞান কেউ রাখে না। তাই প্রকৃত ইসলাম ধর্ম কোনো পাখি বা পশু দেখে ‎বা কোনো পাখি বা পশুর আওয়াজ শুনে কুলক্ষণ মনে করা এবং নৈরাশ্যে নিমজ্জিত ‎হওয়া হারাম ও অবৈধ বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। ‎

অন্যদিকে, প্রকৃত ইসলাম ধর্ম সুলক্ষণ বা শুভ লক্ষণ ও ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক ‎লক্ষণ হিসেবে কোনো সাফল্যসূচক বা সাফল্যযুক্ত বস্তু, শব্দ, আওয়াজ, ভালো আশা ‎করা এবং প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা পোষণ করা ‎বৈধ। তাই আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ‎বলতেন: ‎ ‏"يُعْجِبُنِي الْفَأْلُ: الْكَلِمَةُ الْحَسَنَةُ، الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ" (البخاري: 5776، مسلم: 2224).‏‎ ‎ অর্থ: “শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা আমার পছন্দনীয় বিষয়। আর তা হলো মঙ্গলদায়ক শব্দ, ‎কল্যাণকর শব্দ”। (বুখারি: 5776, মুসলিম: 2224)।

আপনি পাঠ্য বিষয়টি সফলভাবে শেষ করেছেন।


পরীক্ষা শুরু করুন