শিখতে থাকুন

আপনি তো নিবন্ধিত হননি।
শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি এখনই নিবন্ধন করুন, এর দ্বারা আপনার অগ্রগতিকে অঅপনি ধরে রাখতে পারবেন, আপনার সাংকেতিক চিহ্ন বা পয়েন্টগুলির সংখ্যা একত্রিত করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রতিযোগিতায় আপনার প্রবেশের সুযোগ হবে। তাই এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি নিবন্ধিত হন, আপনি সেই পাঠ্য বিষয়গুলিতে একটি বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেট পাবেন, যে পাঠ্য বিষয়গুলির আপনি জ্ঞান লাভ করবেন।

মডেল: বর্তমান বিভাগ

পাঠ্য বিষয় শিরোনাম: পবিত্র কুরআনের মর্যাদা

বিবরণ: ‎ পবিত্র কুরআনের কতকগুলি এমন মর্যাদা আছে যে, সেই মর্যাদাগুলি দ্বারা এই মহা গ্রন্থ ‎পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মান প্রস্ফুটিত হয়। এই অনুচ্ছেদে আমরা পবিত্র ‎কুরআনের কতকগুলি মর্যাদার জ্ঞান লাভ করতে পারবো। ‎

উদ্দেশ্য:পবিত্র কুরআনের কতকগুলি মর্যাদার জ্ঞান লাভ করা। 

অন্য একজন ছাত্রকে গণনা করুন। এই পাঠ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ করুন

পবিত্র কুরআনের মর্যাদা

প্রকৃত ইসলাম ধর্মে পবিত্র কুরআনের মহা মর্যাদা ও মহত্ত্ব রয়েছে। আর যে সমস্ত বিষয়ের দ্বারা পবিত্র কুরআনের মহা মর্যাদা ও মহত্ত্ব বিকশিত হয়, সে সমস্ত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে:

১। যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের জ্ঞান লাভ করবে এবং সেই জ্ঞান প্রচার করবে, তার শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্ব।

عَـنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، عَـنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "خَـيْرُكُـمْ مَـنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ". (صحيح البخاري، رقم الحديث 5027). অর্থ: ওসমান [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি হলো সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, যে ব্যক্তি নিজে পবিত্র কুরআনের জ্ঞান লাভ করে এবং সেই জ্ঞান প্রচার করে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০২৭]।

২। পবিত্র কুরআনের হাফিজগণ ও তার সংরক্ষণকারীগণ হলেন প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর প্রিয়জন ও ‎তাঁর নৈকট্য লাভকারী সৌভাগ্যবান মানুষ।

অর্থ: আনাস বিন মালিক [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর ‎রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “মানব জাতির মধ্যে কতকগুলি ‎এমন মানুষ আছেন যে, তারা প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর প্রিয়জন ‎ও তাঁর নৈকট্য লাভকারী সৌভাগ্যবান মানুষ”। সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর ‎বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ! তাদের বৈশিষ্ট্য কী? আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন: “তারা হলেন পবিত্র ‎কুরআনের হাফিজগণ ও তার সংরক্ষণকারীগণ এবং প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য ‎মহান আল্লাহর প্রিয়জন ও তাঁর নৈকট্য লাভকারী সৌভাগ্যবান মানুষ”। ‎[সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং ২১৫, আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

৩। পবিত্র কুরআনের একটি অক্ষর পাঠ করা বা তিলাওয়াত করার পুণ্য বা সওয়াব ‎বহুগুণ বেশি হয়।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ, يَقُوْلُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَنْ قَرَأَ حَرْفًا ‏مِنْ كِتَابِ اللَّهِ؛ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ، وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، لَا أَقُوْلُ الم حَرْفٌ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ، وَلَامٌ ‏حَرْفٌ، وَمِيْمٌ حَرْفٌ". ‏ ‏(جامع الترمذي، رقم الحديث 2910، قال الإمام الترمذي عن هذا الحديث بأنه: حسن صحيح ‏غريب، وصححه الألباني).‏ অর্থ:‎‏ ‏আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর ‎বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হতে বর্ণনা ‎করেছেন, আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের একটি অক্ষর পাঠ করবে, তাকে ‎একটি পুণ্য প্রদান করা হবে। আর একটি পুণ্য হবে দশটি পুণ্যের সমতুল্য। আমি ‎বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি অক্ষর। বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি ‎অক্ষর এবং মীম একটি অক্ষর”। ‎ ‎[জামে তিরমিযী, হাদীস নং 2910, ইমাম তিরমিযী এই হাদীসটিকে হাসান সহীহ ‎‎(সঠিক) এবং গারীব (এক পন্থায় বর্ণিত) বলেছেন। আর আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ ‎আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

৪। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও তার পঠনপাঠনের মজলিসে ফেরেশতা, প্রশান্তি এবং ‎কৃপা অবতীর্ণ হয়:‎

অর্থ: আবু হুরায়রা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বশ্বিনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যখন কোনো সম্প্রদায় ‎মহান আল্লাহর উপাসনার ঘর মাসজিদে একত্রিত হয়ে মহান আল্লাহর পবিত্র গ্রন্থ ‎কুরআন তিলাওয়াত করে এবং তার পঠনপাঠনে লিপ্ত থাকে, তখন তাদের উপর শান্তি ‎অবতীর্ণ হয়। আর মহান আল্লাহর কৃপা তাদেরকে পরিবেষ্টিত করে রাখে এবং ‎ফেরেশতাগণ তাদেরকে পরিবৃত করে রাখেন। আর মহান আল্লাহ তাঁর নিকটবর্তী ‎সম্মানিত ফেরেশতাগণের সামনে তাদেরকে নিয়ে গৌরবের কথা বলেন”। ‎[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮ - (২৬৯৯)]।‎

৫। পবিত্র কুরআন পাঠকারীদের জন্য ও তার পঠনপাঠনকারীদের জন্য পবিত্র কুরআন ‎সুপারিশ করবে

অর্থ: আবু উমামা আল্ বাহেলী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: ‎আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বশ্বিনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে আমি ‎বলতে শুনেছি: তিনি বলেছেন: ‎ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ؛ فَإِنَّهُ يَأْتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيْعًا لِأَصْحَابِهِ".‏ ‏(صحيح مسلم، جزء من رقم الحديث 252 -(804)، ).‏ অর্থ: “তোমরা পবিত্র কুরআন পাঠ ও পঠনপাঠন করতে থাকো, যেহেতু পরকালে ‎কিয়ামতের দিন পবিত্র কুরআন পাঠকারীদেরকে ও তার পঠনপাঠনকারীদেরকে জান্নাতে ‎প্রবেশ করানোর জন্য এই পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে”। ‎‏ ‏ ‎[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 252 - (804) এর অংশবিশেষ]।

৬। পবিত্র কুরআনের বিষয়ে নিপুণ বা পারদর্শী ব্যক্তি ওই সব ফেরেশতাদের সাথে ‎থাকবে, যারা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল অনুগত ও মর্যাদাবান। আর যে ব্যক্তি পবিত্র ‎কুরআন পাঠ করে এবং তার জন্য তা কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও বারবার পাঠ ‎করে, তার ‎জন্য দুইটি পুণ্য বা পুরস্কার নির্ধারিত আছে। ‎

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قالت: قال رسول الله ﷺ: " اَلْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ معَ السَّفَرةِ الكِرَامِ البَرَرَةِ، ‏وَالَّذِي يقرَأُ القُرْآنَ ويَتَتَعْتَعُ فِيْهِ وَهُو عليْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ".‏ ‏ (صحيح مسلم، جزء من رقم الحديث 244 -‏‎ ‎‏(798)، ). ‏ অর্থ: উম্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর ‎বার্তাবহ রাসূল বশ্বিনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “পবিত্র ‎কুরআনের বিষয়ে নিপুণ বা পারদর্শী ব্যক্তি ওই সব ফেরেশতাদের সাথে থাকবে, যারা ‎আল্লাহর বার্তাবহ অনুগত ও মর্যাদাবান। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং তার ‎জন্য তা কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও বারবার পাঠ ‎করে, তার জন্য দুইটি পুণ্য বা পুরস্কার ‎নির্ধারিত রয়েছে। ‎ ‎[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৪ - (৭৯৮) এর অংশবিশেষ]।

৭। পবিত্র কুরআনের ধারক, বাহক ও রক্ষকের উচ্চ মর্যাদা লাভ হয়। ‎ ‎

قال عمر بن الخطاب رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عنه إِنَّ نَبِيَّكم صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قد قال: "إنَّ اللَّهَ يَرْفَعُ بهذا الكِتَابِ ‏أَقْوَامًا، وَيَضَعُ به آخَرِيْنَ".‏ ‏(صحيح مسلم، جزء من رقم الحديث 269 -‏‎ ‎‏(817)، ). ‏ অর্থ: ওমার ইবনুল খাত্তাব [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় আল্লাহর বার্তাবহ ‎রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “নিঃসন্দেহে পবিত্র কুরআনের দ্বারা ওই সমস্ত সম্প্রদায়কে ইহকাল ও পরকালে ‎অতি ‎উচ্চ মর্যাদার সুখ-‎শান্তি পূর্ণ জীবন প্রদান করনে, যে সমস্ত ‎সম্প্রদায় ‎পবিত্র কুরআনের শিক্ষা মোতাবকে ‎জীবনযাপন করে। আর ওই ‎সমস্ত ‎সম্প্রদায়কে ইহকাল ও পরকালে অতি দুঃখময় ‎জীবন প্রদান ‎করনে, যে ‎সমস্ত সম্প্রদায় পবত্রি কুরআনের শিক্ষাকে প্রত্যাখ্যান ও ‎‎পরিত্যাগ করে”। ‎[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৯ - (৮১৭) এর অংশবিশেষ]।

৮। পরকালে জান্নাতে প্রবেশের সময় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতকারী বা পবিত্র ‎কুরআনের হাফিজের যত আয়াত মুখস্থ থাকবে, তত উচ্চ স্থান লাভ করতে পারবে। ‎

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قال رسول الله ﷺ: " يُقَالُ لِصَاحِبِ القُرآنِ: اقْرَأْ، ‏وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا ".‏ ‏(سنن أبي داود، رقم الحديث 1464، واللفظ له، جامع الترمذي، رقم الحديث 2915 ، وقال الإمام ‏الترمذي عن هذا الحديث بأنه: حسن صحيح، وحسنه وصححه أيضا الألباني).‏ অর্থ: আব্দুল্লাহ বিন আমর [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর ‎বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “পরকালে ‎জান্নাতে প্রবেশের সময় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতকারী বা পবিত্র কুরআনের ‎হাফেজকে বলা হবে: ‎ اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا‎.‎ অর্থ: “তুমি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকো এবং উপরে জান্নাতের উচ্চ স্থানে ‎উঠতে থাকো। আর তুমি ধীরে ধীরে সেইভাবে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করো, ‎যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে। নিশ্চয় তোমার ‎আবাসস্থল হবে সেই স্থানে, যে স্থানে তুমি তোমার সর্বশেষ মুখস্থ আয়াত তিলাওয়াত ‎করতে করতে থেমে যাবে”। ‎ ‎[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৪৬ এবং জামে তিরমিযী, হাদীস নং ২৯১৪, তবে ‎হাদীসের শব্দগুলি [সুনান আবু দাউদ থেকে নেওয়া হয়েছে। ইমাম তিরমিযী ‎হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণীও হাদীসটিকে ‎হাসান সহীহ (সুন্দর সঠিক) বলেছেন] । ‎

৯। কিয়ামতের দিন পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতকারী বা পবিত্র কুরআনের হাফিজকে ‎অলংকৃত করা হবে এবং তাকে সম্মানের পোশাক পরানো হবে।

عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله ﷺ قال: "يجيء القرآن يوم القيامة فيقول: يا رب ‏حَلِّهِ، فيُلْبَسُ تاجَ الكرامة، ثم يقول: يا رب زِدْهُ، فيُلْبَسُ حُلَّةَ الكرامة، ثم يقول: يا رب ارضَ عنه، ‏فيرضى عنه، فيقال له: اقرأ وارْقَ، ويزاد بكل آية حسنة".‏ ‏(جامع الترمذي، رقم الحديث 2915 ، وقال الإمام الترمذي عن هذا الحديث بأنه: حسن صحيح، ‏وحسنه الألباني).‏ অর্থ: আবু হুরায়রা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: ‎ অর্থ: “কিয়ামতের দিন পবিত্র কুরআন উপস্থিত হবে এবং বলবে: হে প্রভু! পবিত্র ‎কুরআন পাঠকারীকে অলংকৃত করুন। সুতরাং ওকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। ‎পুনরায় পবিত্র কুরআন বলবে: হে প্রভু! ওকে আরো অলংকৃত করুন। সুতরাং ওকে ‎সম্মানের পোশাক পরানো হবে। অতঃপর বলবে: হে প্রভু! আপনি ওর উপর সন্তুষ্ট ‎হয়ে যান। সুতরাং আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। অতঃপর তাকে বলা হবে: ‎‎“তুমি পবিত্র কুরআন পাঠ করো আর উচ্চ মর্যাদা লাভ করো। আর প্রত্যেকটি ‎আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে পুণ্য বৃদ্ধি করা হবে”। ‎ ‎[জামে তিরমিযী, হাদীস নং ২৯১৫, ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ ‎বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে হাসান (সুন্দর) বলেছেন] । ‎

১০। যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের পাঠক বা ধারক, বাহক ও রক্ষক হতে পারবে এবং ‎পবিত্র কুরআনের শিক্ষা মোতাবেক কর্ম করতে পারবে, তার পিতামাতাকে কিয়ামতের ‎দিন অনেক রকমের সম্মান প্রদান করবেন। ‎

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ الْجُهَنِيِّ عَنْ أَبِيهِ أن رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا ‏فِيهِ؛ أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ، ضَوْءُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا، لَوْ كَانَتْ فِيهِ، ‏فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا؟!‏ ‏(سنن أبي داود، رقم الحديث 1453، وضعفه الألباني).‏ অর্থ: মোয়াজ আল জুহানী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় আল্লাহর বার্তাবহ ‎রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যে ব্যক্তি পবিত্র ‎কুরআনের পাঠক, ধারক, বাহক ও রক্ষক হতে পারবে এবং পবিত্র কুরআনের শিক্ষা ‎মোতাবেক কর্ম করতে পারবে, তার মাতাপিতাকে কিয়ামতের দিন মুকুট পরানো হবে। ‎এই মুকুটের কিরণ দুনিয়ার সূর্যের কিরণ হতেও উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে, যদি এই সূর্য ‎তোমাদের গৃহের মধ্যে হতো। আর যে ব্যক্তি এই পবিত্র কুরআনের শিক্ষা মোতাবেক ‎কর্ম করতে পারবে, তার ব্যাপারে এখন তোমাদের কী ধারণা হতে পারে? ‎ ‎[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪৫৩, আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে ‎দয়ীফ (দুর্বল) বলেছেন] । ‎

১১। কুরআন মুখস্থ করা এবং শেখা দুনিয়া এবং এর মধ্যে যা আছে তার চেয়ে বেশি ‎উত্তম।

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: خَرَجَ رَسوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي الصُّفَّةِ؛ فَقَالَ: أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ ‏يَغْدُوَ كُلَّ يَومٍ إِلَى بُطْحَانَ، أَوْ ِ إِلَى العَقِيقِ، فَيَأْتِيَ مِنْهُ بنَاقَتَيْنِ كَوْمَاوَيْنِ فِيْ غَيْرِ إثْمٍ، وَلَا قَطْعِ رَحِمٍ؟"؛ فَقُلْنَا: يَا رَسوْلَ ‏اللهِ! نُحِبُّ ذَلِكَ، قَالَ: "أَفَلَا يَغْدُوْ أَحَدُكُمْ إِلَى المَسْجِدِ فَيَعْلَمُ، أَوْ يَقْرَأُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ ‏نَاقَتَيْنِ، وَثَلَاثٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ ثَلَاثٍ، وَأَرْبَعٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَرْبَعٍ، وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنَ الإبِلِ".‏ ‏(صحيح مسلم، جزء من رقم الحديث 251 -‏‎ ‎‏(803)، ). ‏ অর্থ: ওকবা বনি আমের [রাদয়িাল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: ‎একদা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বশ্বিনাবী ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] আমাদের কাছে এমন সময় উপস্থিত হন, যে সেই সময় আমরা ‎সুফ্ফা নামক স্থানে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বশ্বিনাবী ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু ‎আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মাসজিদের মধ্যে অবস্থান করছিলাম। তিনি ‎আমদেরকে বললেন: “তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে, সে ‎প্রতিদিন সকালে বুতহান বা আকীকের বাজার বা হাটে যাবে এবং সেখান ‎থেকে কোনো পাপ বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা ব্যতীত বড়ো চুঁটিবিশিষ্ট ‎দুইটি উষ্ট্রী নিয়ে আসবে? আমরা বললাম: হে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বশ্বিনাবী ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]! আমরা সবাই এইরূপ ‎করতে পছন্দ করি। তিনি বললেন: “তাহলে তোমাদের মধ্যে কি এমন ‎কোনো ব্যক্তি আছে যে, সে মাসজিদে গিয়ে আল্লাহর গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ‎দুইটি আয়াতের জ্ঞানলাভ করবে কিংবা দুইটি আয়াত পাঠ করবে? এটা তার ‎জন্য সেই রকম বা সেই প্রকারের দুইটি উষ্ট্রী লাভ করার চেয়েও বেশি ‎উত্তম। সেই রূপ তিনটি আয়াতের জ্ঞানলাভ করা কিংবা তিনটি আয়াত পাঠ ‎করা সেই রকম তিনটি উষ্ট্রী লাভ করার চেয়েও বেশি উত্তম। তদ্রূপ চারটি ‎আয়াতের জ্ঞানলাভ করা কিংবা চারটি আয়াত পাঠ করা সেই রকম চারটি ‎উষ্ট্রী লাভ করার চেয়েও বেশি উত্তম। আর তদনুসারে তার আয়াতের জ্ঞানলাভ করার সংখ্যা কিংবা আয়াত পাঠ ‎করার সংখ্যা যত বাড়বে, তত উষ্ট্রী লাভ করার সংখ্যার চেয়ে তা বেশি উত্তম ‎হবে”।‏ ‏‎[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫১ - (৮০৩)]।

আপনি পাঠ্য বিষয়টি সফলভাবে শেষ করেছেন।


পরীক্ষা শুরু করুন