শিখতে থাকুন

আপনি তো নিবন্ধিত হননি।
শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি এখনই নিবন্ধন করুন, এর দ্বারা আপনার অগ্রগতিকে অঅপনি ধরে রাখতে পারবেন, আপনার সাংকেতিক চিহ্ন বা পয়েন্টগুলির সংখ্যা একত্রিত করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রতিযোগিতায় আপনার প্রবেশের সুযোগ হবে। তাই এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি নিবন্ধিত হন, আপনি সেই পাঠ্য বিষয়গুলিতে একটি বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেট পাবেন, যে পাঠ্য বিষয়গুলির আপনি জ্ঞান লাভ করবেন।

মডেল: বর্তমান বিভাগ

পাঠ্য বিষয় আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর জীবনচরিত।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ব্যক্তিত্বের সাধারণ পরিচয় লাভ করা এবং তাঁর জীবনচরিতের সঠিক জ্ঞান লাভ করার বিষয়টি হলো এই অনুচ্ছেদের লক্ষ্য।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাধারণ জীবনচরিতের সঠিক জ্ঞান লাভ করা।

অন্য একজন ছাত্রকে গণনা করুন। এই পাঠ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ করুন

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর জীবনচরিত

প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তির অপরিহার্য কর্তব্য হলো এই যে, সে যেন আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর জীবনচরিত সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণের জ্ঞান লাভ করে। যাতে সে জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁর অনুসরণ করতে পারে। যেহেতু আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর জীবনচরিত ছিলো প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষার ও নিয়মকানুন বা বিধিবিধানের বাস্তবরূপ। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيْرًا)، سورة الأحزاب، الآية 21. ভাবার্থের অনুবাদ: “যারা আল্লাহর করুণার আশা রাখে এবং মৃত্যুবরণ করার পরে পরকালে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন লাভের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদের জীবনযাত্রার প্রণালীর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”। (সূরা আল আহযাব, আয়াত নং ২১)।

১। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বংশ পরিচয়।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বংশ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোৎকৃষ্ট। তিনি হলেন মুহাম্মদ, তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ, তাঁর পিতা আব্দুল মুত্তালিব, তাঁর পিতা হাশিম, তাঁর পিতা আব্দ মানাফ, তাঁর পিতা কুসাই, তাঁর পিতা কিলাব, তাঁর পিতা মুর্রাহ, তাঁর পিতা কায়াব, তাঁর পিতা লুই, তাঁর পিতা গালিব, তাঁর পিতা ফেহের, তাঁর পিতা মালিক, তাঁর পিতা আন্নাদার, তাঁর পিতা কিনানা, তাঁর পিতা খুজাইমা, তাঁর পিতা মুদরিকা, তাঁর পিতা ইলইয়াস, তাঁর পিতা মুদার, তাঁর পিতা নিজার, তাঁর পিতা মায়াদ্দ, তাঁর পিতা আদনান আর আদনান হলেন ইসমাইল (আলাইহিস সালাম) এর সন্তান।

২। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মাতাপিতার পরিচয়।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর পিতার নাম হলো আব্দুল্লাহ, তাঁর পিতা আব্দুল মুত্তালিব, তাঁর পিতা হাশিম। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন তাঁর মায়ের গর্ভে ছিলেন, তখন তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মাতার নাম হলো আমিনা, তাঁর পিতা ওয়াহাব, তাঁর পিতা আব্দ মানাফ তাঁর পিতা হলেন জুহরাহ ।

৩। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর তাঁর জন্মের বিবরণ।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হাতিবাহিনীর ঘটনার বছর রবিউল আউয়াল মাসে সোমবার জন্মগ্রহণ করেন।

৪। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] শিশুকালে যে সমস্ত মহিলার স্তনের দুধ পান করেছেন, তার বিবরণ:

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] শিশুকালে কিছুদিন ধরে আবু লাহাবের দাসী সুয়াইবার দুধ পান করেছিলেন। অতঃপর তাঁকে সাদ বংশে দুধ পান করানো হয় সুতরাং হালিমা আস্সায়াদিয়াহ তাঁকে দুধ পান করান এবং তার কাছে তিনি শিশুকালে চার বছর ধরে থাকেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তাঁর বুক চিরে তাঁর হৃদয় অপারেশন করা হয় এবং তাঁর হৃদয় থেকে কুপ্রবৃত্তি এবং শয়তানের প্রভাবের অংশটিকে অপসারিত করা হয়। এই ঘটনার পরই হালিমা শিশু মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে তাঁর মা আমিনার কাছে ফিরিয়ে দেন।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ‎শৈশবাবস্থা এবং তরুণতা।

١
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বানি সাদের ‎অঞ্চল হতে মক্কায় তাঁর মা আমিনার কাছে ফিরে আসেন এবং সযত্নে তাঁর কোলে ‎লালিত-পালিত হতে থাকেন। অতঃপর আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ ‎‎[সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মা আমিনা মদিনা থেকে মক্কায় ফেরার পথে আল ‎আবওয়া নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময়ে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বয়স ছিলো মাত্র ছয় বছর। এইভাবে ‎তিনি মাতাপিতাকে হারিয়ে অনাথ বা এতিম হয়ে পড়েছিলেন। ‎
٢
তাঁর পিতামহ আব্দুলমুত্তালিব তাঁকে নিয়ে মক্কায় ফিরে আসেন। তিনি তাঁর পুত্রের পুত্র ‎বা পোতা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ‎এর সযত্নে প্রতিপালন করতে থাকেন। তবে তাঁর বয়স যখন আট বছর, দুই মাস দশ ‎দিন হয়, তখন মক্কায় তাঁর পিতামহ আব্দুলমুত্তালিবও ইহলোক ত্যাগ করে পরলোক ‎গমন করেন। ‎
٣
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ‎পিতামহের মৃত্যুবরণের পর, তাঁর প্রাজ্ঞ পিতৃব্য বা চাচা আবুতালিবের স্নিগ্ধ ব্যবহারের ‎সুশীতল ছায়াতলে তিনি প্রতিপালিত হতে থাকেন। যেহেতু তিনি তাঁকে নিজের ‎ছেলেদের সাথে সংযুক্ত করেছিলেন। বরং তিনি তাঁকে নিজের ছেলেদের উপরে প্রাধান্য ‎দিয়েছিলেন। এবং তিনি তাঁকে অসাধারণ আদর, যত্ন, স্নেহ, ও সম্মান করেছিলেন। ‎এইভাবে তিনি চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর যত্নসহকারে সংরক্ষণ ‎করেছিলেন। ‎

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মহান ‎আল্লাহর পক্ষ থেকে নাবী হওয়ার পূর্বের কর্ম।

١
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন ‎বাল্যকালে ছোটো অবস্থায় ছিলেন, তখন তিনি মক্কার লোকদের কতকগুলি কিরাত ‎মুদ্রার বিনিময়ে ছাগল চরাতেন। ‎
٢
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বারো বছর ‎বয়সে তাঁর চাচা আবু তালিবের সাথে শাম দেশে বাণিজ্যের কাজে গিয়েছিলেন। এবং ‎খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ কুরাইশ বংশের একজন সম্ভ্রান্ত সম্মানিতা ধনিনী ও ‎বনিকিনী মহিলা ছিলেন। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] যখন পঁচিশ বছর বয়সের তরুণ ছিলেন, তখন তাঁকে খাদিজা বিনতে ‎খুওয়াইলিদ তার অর্থ নিয়ে শাম দেশে বাণিজ্যের কাজে যাওয়ার কথা বলেন এবং তিনি ‎অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরকে যা পারিশ্রমিক দিতেন, তার চেয়ে তাঁকে উত্তম পারিশ্রমিক ‎প্রদান করার প্রস্তাব দেন। যেহেতু খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ ‎‎[সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সততা, আন্তরিকতা, আমানত রক্ষা করার ‎বিশিষ্টতা ও সচ্চরিত্র এবং সদাচরণের‎ উৎকৃষ্টতা ভালোভাবেই জানতেন। সুতরাং ‎আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সেই প্রস্তাব ‎মেনে নিয়েছিলেন এবং খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদের মাল ও অর্থ এবং তার দাস ‎মাইসারাকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এবং শাম দেশে আগমন করেছিলেন। ‎অতঃপর যখন আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] মক্কায় ফিরে এলেন, তখন খাদিজা তাঁর মাল ও অর্থে এমন আমানত ও ‎মঙ্গল লক্ষ্য করলেন, যা তিনি ইতিপূর্বে কখনই লক্ষ্য করেননি। ‎

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর নাবী ‎হওয়ার পূর্বের জীবনচরিত।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর নাবী ‎হওয়ার পূর্বের জীবনচরিত ছিলো পুণ্যময় সম্মানিত ও পবিত্র। তাই তাঁর জীবনচরিতে ‎কোনো প্রকারের অশিষ্টতা ও অভদ্রতার লেশ নেই। মহান আল্লাহর সযত্নে তিনি ‎প্রতিপালিত হয়েছেন এবং বড়ো হয়েছেন। তাঁকে মহান আল্লাহ জাহেলিয়াতের বা ‎প্রাগ-ইসলামী যুগের বর্বরতা ও নোংরামি থেকে রক্ষা করেছেন। সুতরাং তিনি তাঁর ‎সম্প্রদায়ের মধ্যে আচরণের দিক দিয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ, সচ্চরিত্রের দিক দিয়ে সর্বোত্তম, ‎বংশের দিক দিয়ে সর্বোৎকৃষ্ট, প্রতিবেশীর সবচেয়ে বেশি মহৎ, সহনশীলতার দিক ‎দিয়ে মহানুভব, কথাবার্তার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড়ো সত্যবাদী এবং আমানত রক্ষা ‎করার দিক দিয়ে সব চেয়ে বেশি ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। আর তিনি সকল প্রকারের ‎অশ্লীলতা ও অসচ্চরিত্রের বহু ঊর্ধ্বে ছিলেন। তাই তিনি সকলের কাছে বিখ্যাত ছিলেন ‎আস্সাদিক বা সত্যবাদী এবং আলআমীন বা বিশ্বাসভাজন আমানতদার হিসেবে। ‎

৬। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ‎স্ত্রীগণ

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁর পঁচিশ ‎বছর বয়সে খাদিজাকে বিয়ে করেছিলেন। যখন তিনি খাদিজার বাণিজ্যের কাজে ‎মাইসারাকে সাথে নিয়ে শাম দেশে গিয়েছিলেন তখন। কেননা মাইসারা আল্লাহর ‎বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সততা, আমানত ‎রক্ষা করার বিশিষ্টতা ও মাহাত্ম্য দেখে অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত ও বিস্মিত হয়েছিলেন। তাই ‎তিনি যখন শাম দেশে বাণিজ্যের কাজ শেষ করে ফিরে এসেছিলেন, তখন তিনি তাঁর ‎মালিক খাদিজাকে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] এর সততা, আমানত রক্ষা করার বিশিষ্টতা ও মাহাত্মের কথা জানিয়ে ‎দিয়েছিলেন। তাই খাদিজা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু ‎আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আর খাদিজা ছিলেন ‎আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রথম ‎বিয়ের প্রথম স্ত্রী। খাদিজা যত দিন জীবিতা ছিলেন, ততো দিন আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আর অন্য কোনো মহিলাকে বিবাহ ‎করেননি। ইবরাহিম ছাড়া আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু ‎আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সমস্ত সন্তানের মা ছিলেন খাদিজা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] । ‎হিজরতের তিন বছর পূর্বে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ‎স্ত্রীগণের নাম।

١
খাদিজা [রাদিয়াল্লাহু আনহা]‎‎
٢
খাদিজা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] মৃত্যুবরণ করার পর আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] জামায়ার কন্যা সাওদা [রাদিয়াল্লাহু ‎আনহা] কে বিবাহ করেন। ‎
٣
তারপর তিনি আবু বাকর আস সিদ্দিকের কন্যা আয়েশা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে বিবাহ ‎করেন। ‎
٤
অতঃপর তিনি ওমার ইবনুল খাত্তাব এর কন্যা হাফসা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে বিবাহ ‎করেন। ‎
٥
তারপর তিনি খুজাইমা ইবনুল হারিসের কন্যা জায়নাব [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে বিবাহ ‎করেন। ‎
٦
অতঃপর তিনি ওমাইয়ার কন্যা উম্মু সালামা হিন্দ [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে বিবাহ ‎করেন। ‎
٧
তারপর তিনি জাহশের কন্যা জায়নাব [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে বিবাহ করেন। ‎
٨
অতঃপর তিনি আলহারিসের কন্যা জুওয়াইরিয়া [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে বিবাহ করেন।
٩
অতঃপর তিনি আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মু হাবিবা রামলা বা হিন্দ [রাদিয়াল্লাহু আনহা] ‎কে বিবাহ করেন।
١٠
তারপর তিনি খায়বার বিজয়ের পর হুয়ায় বিন আখতাবের কন্যা সাফিয়া [রাদিয়াল্লাহু ‎আনহা] কে বিবাহ করেন।
١١
তারপর তিনি আলহারিসের কন্যা মায়মুনা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] কে বিবাহ করেন। আর ‎ইনিই হলেন আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ‎সর্বশেষ স্ত্রী।

৭। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ‎সন্তান

সঠিক মত মোতাবেক আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] এর সন্তানের সংখ্যা হলো সাতজন: (তিনজন পুরুষ ও চারজন মহিলা)।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর পুরুষ ‎সন্তান ছিলো তিনজন: ১। আল-কাসিম, যার সাথে তাঁর ডাকনাম ছিলো আবুল কাসিম ‎বলে। আর আল-কাসিম মাত্র কয়েকদিন বেঁচে ছিলেন। ২। আবদুল্লাহ, যার ডাকনাম ‎ছিলো আত্তাহির এবং আত্তাতাইয়েব। ৩। অতঃপর ইবরাহিম।

আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর পুরুষ ‎সন্তান ছিলো তিনজন: ১। আল-কাসিম, যার সাথে তাঁর ডাকনাম ছিলো আবুল কাসিম ‎বলে। আর আল-কাসিম মাত্র কয়েকদিন বেঁচে ছিলেন। ২। আবদুল্লাহ, যার ডাকনাম ‎ছিলো আত্তাহির এবং আত্তাতাইয়েব। ৩। অতঃপর ইবরাহিম। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর কন্যা ‎ছিলো চারজন: জায়নাব, ইনি তাঁর কন্যাদের মধ্যে সব চেয়ে বড়ো ছিলেন, অতঃপর ‎ছিলেন: রুকাইয়া তারপর ছিলেন: উম্মু কুলসুম এবং শেষের কন্যা ছিলেন ফাতিমা। ‎আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সমস্ত ‎কন্যা ছিলেন তাঁর স্ত্রী, উম্মুল মুমেনীন খাদিজা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর পেট থেকে। ‎আর ইবরাহিম ছিলেন আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] এর উপপত্নী মারিয়া আলকিবতীর পেট থেকে। আলমুকাওকিস সম্রাট ‎মারিয়া কিবতীকে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী‎‏‎ ‎মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‎ওয়াসাল্লাম] এর জন্য উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।

আপনি পাঠ্য বিষয়টি সফলভাবে শেষ করেছেন।


পরীক্ষা শুরু করুন