শিখতে থাকুন

আপনি তো নিবন্ধিত হননি।
শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি এখনই নিবন্ধন করুন, এর দ্বারা আপনার অগ্রগতিকে অঅপনি ধরে রাখতে পারবেন, আপনার সাংকেতিক চিহ্ন বা পয়েন্টগুলির সংখ্যা একত্রিত করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রকারের প্রতিযোগিতায় আপনার প্রবেশের সুযোগ হবে। তাই এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট “তা প্ল্যাটফর্ম” টিতে আপনি নিবন্ধিত হন, আপনি সেই পাঠ্য বিষয়গুলিতে একটি বৈদ্যুতিন সার্টিফিকেট পাবেন, যে পাঠ্য বিষয়গুলির আপনি জ্ঞান লাভ করবেন।

মডেল: বর্তমান বিভাগ

পাঠ্য বিষয় হালাল রুজি বা জীবিকা উপার্জন করা

এই পরিচ্ছেদে আমরা হালাল রুজি বা জীবিকা উপার্জন করার অর্থ, বিধিবিধান, আদবকায়দা এবং ধ্যানধারণা জানতে পারবো।

 

  • হালাল রুজি বা জীবিকা উপার্জন করার অর্থ জানা।
  • জীবিকা উপার্জন করার অর্থ, বিধিবিধান ওআদবকায়দার জ্ঞান লাভ করা।

অন্য একজন ছাত্রকে গণনা করুন। এই পাঠ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ করুন

ধনসম্পদের গুরুত্ব

মানুষ নিজের মৌলিক প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলি পূরণ করার জন্য সে সদাসর্বদা ধনসম্পদের ‎মুখাপেক্ষী হয়। সুতরাং সে খাদ্যদ্রব্য, পানীয় দ্রব্য, বাসস্থান, পোশাক, ইত্যাদির সদাসর্বদা ‎মুখাপেক্ষী হয়। তদ্রূপ সে তার নিজের জীবনের প্রকৃত অবস্থাকে উন্নত করার জন্য সদাসর্বদা ‎কতকগুলি কল্যাণকর এবং মঙ্গলজনক বিষয় ব্যবহার করে। তাই প্রকৃত ইসলাম ধর্ম ‎ধনসম্পদের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং এই ধনসম্পদ সঠিক পন্থায় উপার্জন ও ‎ব্যয় করার অনেক বিধানবিধান দিয়েছে।

ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জনের সংজ্ঞা

ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন বলে বুঝানো হয় ওই সমস্ত উপকরণ ও কর্ম, যে ‎সমস্ত উপকরণ ও কর্মের মাধ্যমে মানুষ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ধনসম্পদ এবং ‎অর্থ রোজগার করে। আর সেই সমস্ত উপকরণ ও কর্ম ব্যবসা হোক অথবা শিল্প কিংবা ‎কৃষিকাজ হোক বা অন্য কোনো বিষয় হোক। ‎

ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার বিধান

١
ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করা মুসলিম ব্যক্তির প্রতি কতকগুলি ক্ষেত্রে ‎বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য কর্তব্য। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, মুসলিম ‎ব্যক্তি নিজের জন্য এবং নিজের পোষ্যবর্গ বা প্রতিপাল্য ব্যক্তিবর্গের জন্য কিংবা ‎যাদেরকে প্রতিপালিত করা জরুরি, তাদের জন্য এবং নিজের ঋণ পরিশোধ করার জন্য ‎বা নিজেকে মানুষের কাছে ভিক্ষা করা থেকে রক্ষা করার জন্য ধনসম্পদ এবং জীবিকা ‎উপার্জন করা অবশ্য কর্তব্য ও প্রয়োজনীয় দায়িত্ব। ‎
٢
কোনো কোনো সময় অতিরিক্ত বা নফল ইবাদত বা উপাসনার উদ্দেশ্যে ধনসম্পদ এবং ‎জীবিকা উপার্জন করা মুসলিম ব্যক্তির প্রতি বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য হবে না বরং ‎মোস্তাহাব বা পছন্দনীয় একটি ভালো কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে। তাই উদাহরণস্বরূপ ‎বলা যেতে পারে যে, কোনো মুসলিম ব্যক্তি যখন অন্য কোনো আত্মীয় স্বজন বা দরিদ্র ‎লোকের উপকারের জন্য ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করবে, তখন তার জন্য তা ‎মোস্তাহাব বা একটি পছন্দনীয় ভালো কাজ হিসেবে পরিগণিত হবে। বাধ্যতামূলক ও ‎অপরিহার্য কাজ হিসেবে পরিগণিত হবে না। ‎
٣
কোনো কোনো সময় ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করা মুসলিম ব্যক্তির প্রতি বৈধ ‎কর্ম হিসেবে পরিগণিত হবে। বিশেষ করে যখন সে মৌলিক প্রয়োজন ব্যতীত মহান ‎আল্লাহর বৈধকৃত অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য, পানীয় দ্রব্য এবং পোশাক ইত্যাদি উপভোগ ‎করার উচ্ছায় ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করবে, তখন তা তার জন্য জায়েজ বা ‎বৈধ কর্ম হিসেবে গণ্য করা হবে। ‎
٤
ওই সময়ে ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করা হারাম হিসেবে পরিগণিত হবে, যে ‎সময়ে অবৈধ বা হারম উপায়ে অথবা অন্য কোনো অপরিহার্য কর্তব্য নষ্ট করে কিংবা ‎অবৈধ বা হারম কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করা হবে। ‎
٥
উল্লিখিত বিষয়ের বাইরে ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করা হলো অপছন্দনীয় কাজ ‎বা মকরুহ বিষয়। বিশেষ করে যখন অতিরিক্ত বা নফল ইবাদত বা উপাসনার বিষয় ‎থেকে মানুষকে তা ব্যস্ত করে দিবে। ‎

যখন ধনসম্পদ এবং জীবিকা পার্থিব জীবনের প্রতিযোগিতায় অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্য করার ‎জন্য হবে, তখন তা অপছন্দনীয় কাজ বা মকরুহ বিষয় হিসেবে পরিগণিত হবে। তবে ‎কতকগুলি আলেম বা পণ্ডিতের নিকটে তা অবৈধ বা হারম হিসেবে পরিগণিত হবে।

যে মুসলিম ব্যক্তি ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার প্রচেষ্টা চালাবে, তার প্রতি ‎ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জনের বৈধ প্রণালি ও নিয়ম পদ্ধতির জ্ঞান লাভ করা ‎ওয়জিব বা অপরিহার্য হয়ে যাবে। যাতে সে আর্থিক লেনদেনের বিধিবিধান জানতে ‎পারে। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, সে যেন আদানপ্রদান বা ‎ক্রয়বিক্রয়, ভাড়া নেওয়া বা ভাড়া দেওয়া, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অথবা কোম্পানি বা ‎কর্পোরেশন সংক্রান্ত বিধিবিধান আর সুদের নিয়মকানুন এবং ব্যবসা বাণিজ্যের ‎প্রবিধানের জ্ঞান লাভ করে আর এটা তার প্রতি অপরিহার্য বিষয়। যাতে সে হরাম বা ‎অবৈধ ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করা হতে বিরত থাকতে পারে। ‎

ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার আদবকায়দা

১। ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য আদবকায়দার ‎অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয় হলো: ‎ ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার কারণে মহান আল্লাহর অপরিহার্যকৃত ‎কোনো বিষয়কে দূরে রাখা যাবে না বা নষ্ট করা চলবে না। কেননা প্রকৃত ইমানদার ‎মুসলিম ব্যক্তির জরুরি কর্তব্য হলো সদাদাসর্বদা এবং সকল ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর ‎অপরিহার্যকৃত বিষয়কে নিজের সমস্ত কর্মের উপরে প্রাধান্য দেওয়া ও মূল বুনিয়াদ ‎এবং আসল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা।

২। ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য আদবকায়দার ‎অন্তর্ভুক্ত আরেকটি বিষয় হলো: ‎ প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তি ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার কারণে যেন ‎ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য কোনো মানুষের ক্ষতি সাধন না করে এবং অন্য কোনো মানুষকে ‎কোনো প্রকারের কষ্ট না দেয়। যেহেতু প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক ‎‎“ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মানুষ যেন নিজের বা অন্য কোনো মানুষের ক্ষতি সাধন না ‎করে”।

৩। ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার সময় প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তির ‎উদ্দেশ্য যেন ভালো হয়। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, সে নিজের ‎জীবনকে এবং নিজের পোষ্যবর্গ বা প্রতিপাল্য ব্যক্তিবর্গকে কিংবা যাদেরকে প্রতিপালিত ‎করা জরুরি তাদের জীবনকে ভিক্ষা করা থেকে পবিত্র রাখা উদ্দেশ্যে আর মহান ‎আল্লাহর উপাসনা করার বিষয়ে সাহায্য লাভের উদ্দেশ্যে ধনসম্পদ এবং জীবিকা ‎উপার্জন করবে। অতএব প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তি অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্য প্রকাশ ‎করার জন্য ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করবে না অথবা অন্য কোনো অনৈতিক ‎অনুচিত ও অবৈধ কর্ম সাধনের কৌশল হিসেবে ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন ‎করবে না। ‎

ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার সময় প্রকৃত ইমানদার মুসলিম ব্যক্তি যখন তার ‎হৃদয়ে ইখলাস বা একনিষ্ঠতা বজায় রাখবে আর তার ধনসম্পদ এবং জীবিকা ‎উপার্জনের মাধ্যমে কতকগুলি মানুষের উপকার করার এবং তাদেরকে স্বাচ্ছন্দ্যে ও ‎প্রশস্ততায় রাখার ইচ্ছা পোষণ করবে, তখন তার ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন ‎করার বিষয়টি হবে মহান আল্লাহর উপাসনা বা ইবাদত। আর এর দ্বারা সে মহান ‎আল্লাহর কাছে উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারবে। যেহেতু আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল ‎বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “মানব সমাজের মধ্যে ‎আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় ব্যক্তি হলো সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তির দ্বারা মানব ‎সমাজের সবচেয়ে বেশি উপকার হয়”। (আল-তাবারানী 6026 দ্বারা আল-আওসাত)। ‎

৪। মানুষের ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার কাজের মধ্যে এবং তার অন্যান্য ‎প্রয়োজনীয় চাহিদার মধ্যে মধ্যপন্থা এবং ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। অতএব ‎ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করা পার্থিব জীবনযাপনের উপাদানের বদলে পার্থিব ‎জীবনযাপনের প্রধান লক্ষ্যে পরিবর্তিত না হয়ে যায়। ‎ যেহেতু সালমান [রাদিয়াল্লাহু আনহু] আবু দ্দারদা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] কে বলেছিলেন: ‎নিশ্চয় তোমার উপরে তোমার প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান প্রভু আল্লাহর ‎অধিকার রয়েছে। তোমার প্রতি তোমার আত্মারও অধিকার রয়েছে এবং তোমার প্রতি ‎তোমার পরিবারেরও অধিকার রয়েছে। অতএব তুমি প্রত্যেক অধিকারীকে তার ‎অধিকার প্রদান করো। অতঃপর আবু দারদা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] আল্লাহর ‎‏‏বার্তাবহ‏ ‏রাসূল ‎মুহাম্মাদ‏ ‏‎[সাল্লাল্লাহু‏ ‏আলাইহি‏ ‏ওয়াসাল্লাম] এর নিকটে এসে তাঁকে সমস্ত ঘটনা শুনালেন। ‎তাই আল্লাহর ‎‏‏বার্তাবহ‏ ‏রাসূল মুহাম্মাদ‏ ‏‎[সাল্লাল্লাহু‏ ‏আলাইহি‏ ‏ওয়াসাল্লাম] বলেছিলেন: ‎‎“সালমান সত্য কথা বলেছে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং 1968]। ‎

৫। ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার ক্ষেত্রে প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান ‎প্রভু আল্লাহর উপর ভরসা করা: আল্লাহর উপর ভরসা করার তাৎপর্য হলো এই যে ‎মানুষ যেন ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার বৈধ উপায় অবলম্বন করে এবং ‎তার হৃদয় যেন সদাসর্বদা আল্লাহর সাথে সংযুক্ত থাকে।

৬। মানুষ যেন এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, ধনসম্পদ এবং জীবিকা এক ও অদ্বিতীয় ‎প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান প্রভু আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো দিক থেকে আসবে ‎না। এবং ধনসম্পদ এবং জীবিকা কেবলমাত্র মানুষের নিজের উপার্জনের মাধ্যমে হয় ‎না। তাই অনেক সময়ে দেখা যায় যে, মানুষ ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার ‎অনেক উপায় অবলম্বন করার পরেও তার হাতে কোনো ধনসম্পদ এবং জীবিকা ‎আসছে না মহান প্রভু আল্লাহর কোনো রহস্যময় তাৎপর্য নিহিত থাকার কারণে। আর ‎এই রহস্যময় তাৎপর্য কেবলমাত্র মহান প্রভু আল্লাহই জানেন। ‎

৭। প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান প্রভু আল্লাহর প্রদত্ত ধনসম্পদ এবং জীবিকায় ‎সন্তুষ্ট থাকা এবং তাতে বিলম্বিত হচ্ছে বলে কোনো ধারণা পোষণ না করা; যেহেতু ‎মানুষের ধনসম্পদ এবং জীবিকার সময় ও পরিমাণ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ‎নির্ধারিত করা আছে। তাই মুসলিম ব্যক্তি ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জন করার চেষ্টা ‎করে প্রকৃত ইসলামের আদবকায়দা মোতাবেক আল্লাহর নির্ধারিত জীবিকার প্রতি‏ ‏খুশি ‎হয়ে সন্তুষ্ট চিত্তে বৈধ বা হালাল পন্থায়, অবৈধ পন্থায় নয়। যেহেতু আল্লাহর বার্তাবহ ‎রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন:‎ ‏"أيها الناس، اتقوا الله وأجمِلوا في الطلب، فإن نفساً لن تموت حتى تستوفي رزقها وإن أبطأ عنها، ‏فاتقوا الله وأجملوا في الطلب، خذوا ما حلَّ، ودَعُوا ما حَرُم".‏ ‏ (ابن ماجه 2144).‏‎ ‎‏ ‏ ‎অর্থ: “হে মানব সমাজ! তোমরা মহান আল্লাহকে আন্তরিকতার সহিত মেনে চলো এবং ‎তাঁর অবাধ্য হওয়া থেকে তাঁকে ভয় করো! আর ধনসম্পদ এবং জীবিকা উপার্জনের ‎জন্য সদুপায় ও সুন্দর পন্থা অবলম্বন করো। আর জেনে রাখো যে, কোনো ব্যক্তি ‎ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার জীবিকা পূর্ণরূপে গ্রহণ না ‎করবে, যদিও তা বিলম্বিত হয়। তোমরা মহান আল্লাহকে আন্তরিকতার সহিত মেনে ‎চলো এবং তাঁর অবাধ্য হওয়া থেকে তাঁকে ভয় করো! আর ধনসম্পদ এবং জীবিকা ‎উপার্জনের জন্য সদুপায় ও সুন্দর পন্থা অবলম্বন করো। বৈধ বা হালাল বিষয় গ্রহণ ‎করো এবং অবৈধ বা হারাম বিষয় বর্জন করো”। ‎[সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং 2144, আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল আলবাণী হাদীসটিকে ‎সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

আপনি পাঠ্য বিষয়টি সফলভাবে শেষ করেছেন।


পরীক্ষা শুরু করুন