মডেল: বর্তমান বিভাগ
পাঠ্য বিষয় শিরোনাম: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সুন্নাত বা হাদীস।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সুন্নাত বা হাদীস হলো তাঁর প্রতি প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর প্রেরিত বাণী বা প্রত্যাদেশ কিংবা অহী। আর এই সুন্নাত বা হাদীস হলো পবিত্র কুরআন মাজিদের সাথে সাথে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের বুনিয়াদ ও মূল উৎস। সুতরাং পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাত বা হাদীস একে অপরের পরিপূরক। তাই সদাসর্বদা পবিত্র কুরআন ও সুন্নাত বা হাদীস হলো অবিচ্ছেদ্য বিষয়। যেমন দুই সাক্ষ্য প্রদান করা: আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই আর মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল হলো অবিচ্ছেদ্য বিষয় এবং একে অপরের পরিপূরক বিষয়। তাই যে ব্যক্তি সুন্নাত বা হাদীসের প্রতি সঠিকভাবে অন্তরে ইমান স্থাপন করতে পারবে না, সে ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের প্রতিও সঠিকভাবে অন্তরে ইমান স্থাপন করতে পারবে না।
সুন্নাত বা হাদীসের সংজ্ঞা
সুন্নাত বা হাদীস হলো: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বাণী, কর্ম ও তাঁর অনুমোদিত বাক্য এবং কার্য আর তাঁর দৈহিক রূপরেখার বৈশিষ্ট্য ও চারিত্রিক অবস্থার বিবরণ।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সুন্নাত বা হাদীসের মহত্ত্ব বা মর্যাদা।
প্রকৃত ইসলাম ধর্মে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সুন্নাত বা হাদীসের মহা মর্যাদা ও মহত্ত্ব রয়েছে। আর যে সমস্ত বিষয়ের দ্বারা সুন্নাত বা হাদীসের মহা মর্যাদা ও মহত্ত্ব বিকশিত হয়, সে সমস্ত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে:
১। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো প্রকৃত ইসলাম ধর্মের বিধিবিধানের দ্বিতীয় উৎস।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো পবিত্র কুরআনের পর প্রকৃত ইসলাম ধর্মের বিধিবিধানের দ্বিতীয় উৎস। আল-মিকদাম ইবনু মাদীকারিব [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “জেনে রাখো! আমাকে পবিত্র গ্রন্থ কুরআন এবং তার অনুরূপ বিষয় প্রদান করা হয়েছে। “জেনে রাখো! আমাকে পবিত্র গ্রন্থ কুরআন এবং তার অনুরূপ বিষয় প্রদান করা হয়েছে। জেনে রাখো! এমন এক সময় আসবে যখন কোনো প্রাচুর্যবান লোক তার আসনে বসে বলবে: তোমরা শুধু এই কুরআনকেই গ্রহণ করো, তাতে যা হালাল পাবে তা হালাল এবং যা হারাম পাবে তা হারাম হিসেবে মেনে নিবে”। (মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ১৭১৭৪)।
২। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর প্রেরিত বাণী বা প্রত্যাদেশ ও অহি।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর প্রেরিত প্রত্যাদেশ বা বাণী ও অহি। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى، إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى، عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى)، سورة النجم، الآيات 3-5. ভাবার্থের অনুবাদ: “বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ নিজের মনগড়া কোনো কথা বলে না। যা বলে তা তো মহান আল্লাহর প্রেরিত প্রত্যাদেশ বা বাণী ও অহি, যা তার উপর অবতীর্ণ করা হয়। তাকে অহি পৌঁছে দিয়েছে শক্তিধর ফেরেশতা জিবরিল”। ( সূরা আন্নাজম, আয়াত নং ৩-৫ )।
৩। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীসে পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা রয়েছে। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ)، سورة النحل، الآية 44. ভাবার্থের অনুবাদ: “হে বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ! আর আমি তোমার প্রতি পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করেছি; তাই যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে তা তুমি লোকদের জন্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে পারো; যাতে তারা চিন্তা করে দেখতে পারে এবং প্রকৃত ইসলামের অনুগামী হতে পারে”। (সূরা আন্নাহল, আয়াত নং ৪৪)।
পবিত্র কুরআনের মধ্যে অনেক আয়াতে অনেক বিধিবিধানের বিষয় সংক্ষেপে উল্লিখিত হয়েছে। সেই বিধিবিধানগুলির ব্যাখ্যা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] স্পষ্টভাবে কথা ও কর্মের দ্বারা করে দিয়েছেন। তাই দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَأَقِيْمُوا الصَّلاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ)، سورة النور، الآية 56. ভাবার্থের অনুবাদ: “আর হে প্রকৃত ইমানদার মুসলিম সমাজ! তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠিত করো, জাকাত প্রদান করো এবং আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ এর আনুগত্য করো, যাতে তোমরা আল্লাহর করুণা লাভ করতে পারো”। (সূরা আন নূর, আয়াত নং ৫৬)। এই আয়তে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়টি এবং জাকাত প্রদান করার বিষটি সংক্ষেপে উল্লিখিত হয়েছে। এবং এইগুলির বিস্তারিত বিবরণ আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীসে এসেছে। সুতরাং হাদীসের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে দিনরাতে দৈনিক পাঁচবার নামাজ পড়ার বিবরণ ও পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিধিবিধান। তদ্রূপ জাকাত প্রদানের নিয়মকানুন হাদীসের মধ্যে সবিস্তারে আলোচিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ জিকিরের সংরক্ষণ করেছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ)، سورة الحجر، الآية 9. ভাবার্থের অনুবাদ: “নিশ্চয় আমি এই পবিত্র কুরআনকে অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছি”। (সূরা আল হজির, আয়াত নং ৯)। আর এই জিকির বলা হয় সেই সমস্ত বিষয়কে, যে সমস্ত বিষয় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর সেই অবতীর্ণকৃত বিষয়গুলি হলো পবিত্র কুরআন এবং হাদীস।
মহান আল্লাহ হাদীস সংরক্ষণ করেছেন। এর বাহ্যিক নিদর্শন হলো এই যে, আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস সংরক্ষণের জন্য মহামহিমান্বিত আল্লাহ বড়ো বড়ো আলেমদেরকে বা বড়ো বড়ো বিদ্যাবান ও পণ্ডিতদেরকে প্রস্তুত করেছেন। তাঁরা হাদীস সংগ্রহ ও একত্রিত করেছেন এবং লিপিবদ্ধ করেছেন। আর তাঁরা হাদীস বর্ণনা করার নিয়মকানুন বা বিধিবিধান নির্ধারিত করেছেন। এর সাথে সাথে তাঁরা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে এবং বাস্তব ও অবাস্তবের মধ্যে এবং ভুল ও নির্ভুলের মধ্যে পার্থক্য করেছেন। আর তাঁরা হাদীসের সমস্ত বিষয়কে খুব নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রিত করেছেন এবং খুব নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত করেছেন আর হাদীস বর্ণনাকারীদের অবস্থাও গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন ও গভীরভাবে তলিয়ে দেখে পরীক্ষা করেছেন।
সুতরাং মহান আল্লাহ হাদীসের সংরক্ষণ করেছেন এই সমস্ত বড়ো বড়ো আলেম বা বিদ্যাবান ও পণ্ডিত এবং হাদীস বর্ণনাকারীর মাধ্যমে, যাদেরকে তিনি হাদীসের সংরক্ষণের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।
পবিত্র কুরআনের পর আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো প্রকৃত ইসলাম ধর্মের নিয়মকানুন বা বিধিবিধানের দ্বিতীয় উৎস। পবিত্র কুরআন এবং আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস, এই দুইটিকে পাশাপাশি ধরে না রাখলে মহান আল্লাহর প্রকৃত ধর্ম ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করা হয় না।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো প্রকৃত ইসলাম ধর্মের একটি মৌলিক উৎস। তাই হাদীসের দাবি মোতাবেক প্রকৃত ইসলাম ধর্মের আকীদা বা মতবাদ এবং বিধিবিধান সাব্যস্ত করা ও তা মেনে চলা অপরিহার্য বা ওয়াজিব।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস কোনো কোনো সময় পবিত্র কুরআনের কতকগুলি বিধিবিধানের ব্যাখ্যা পেশ করে থাকে। আবার এই হাদীস কোনো কোনো সময় এমন কতকগুলি বিধিবিধান পেশ করে থাকে যে, সেই বিধিবিধানগুলি পবিত্র কুরআনের মধ্যে আলোচিত হয়নি। তাই এই ক্ষেত্রে হাদীসের দ্বারা হালাল বা বৈধ হওয়ার বিষয়টি এবং হারাম বা অবৈধ হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কুরআনের শিক্ষার মতোই গ্রহণ করা অপরিহার্য।
পবিত্র কুরআনের দ্বারা এবং আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস হলো প্রকৃত ইসলাম ধর্মের নিয়মকানুন বা বিধিবিধান সাব্যস্ত করার উপযুক্ত ও ন্যায্য দলিল। এই ক্ষেত্রে অনেক আয়াত এবং অনেক হাদীসে উপদেশ এসেছে হাদীসকে মেনে চলার জন্য এবং হাদীসের দ্বারা দলিল গ্রহণ করার জন্য আর আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর অপরিহার্য হিসেবে আনুগত্য করার জন্য। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলছেনে: (وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا)، سورة الحشر، جزء من الآية 7. ভাবার্থের অনুবাদ: “হে প্রকৃত ইমানদার মুসলিম সমাজ! আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আদশে মোতাবেক তোমরা কর্ম করো এবং তাঁর নিষিদ্ধ করা বা অবিহিত করা বিষয় হতে বিরত থাকো”। (সূরা আল হাশার, আয়াত নং ৭ এর অংশবিশেষ)।
আল মিকদাম ইবনু মাদীকারিব আলকিনদী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: অবশ্যই আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “অচিরেই কোনো ব্যাক্তি তার আসনে হেলান দেওয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং যখন তার সামনে আমার হাদীস বর্ণনা করা হবে, তখন সে বলবে: আমাদের ও তোমাদের মাঝে মহামহিম আল্লাহর কিতাব পবিত্র কুরআনই যথেষ্ট। আমরা তাতে যা হালাল পাবো, তাকেই হালাল হিসেবে গ্রহণ করবো এবং তাতে যা হারাম পাবো, তাকেই হারাম হিসেবে গ্রহণ করবো”। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তার মতোই”। [সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং ১২, সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬০৪ এবং জামে তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৬৪, তবে হাদীসের শব্দগুলি সুনান ইবনু মাজাহ থেকে নেওয়া হয়েছে। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান গারীব বলেছেন। এবং আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।
মহান আল্লাহ সমস্ত মানুষের প্রতি তাঁর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আনুগত্য করা এবং তাঁর হাদীস মোতাবেক তাঁর নির্দেশ, কর্ম ও আচরণে তাঁর অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য করে দিয়েছেন। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলছেনে: (قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللَّهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ)، سورة آل عمران، الآية 31. ভাবার্থের অনুবাদ: “হে বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ! তুমি বলে দাও: হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা যদি মহান আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে মেনে চলো এবং আমার অনুসরণ করো। তোমরা যদি আমাকে সঠিকভাবে মেনে চলো এবং আমার অনুসরণ করো, তাহলে মহান আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের সমস্ত পাপকে মাফ করে দিবেন। মহান আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু”। (সূরা আল ইমরান, আয়াত নং ৩১)। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে আরো বলেছেন: (وَٱتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ)، سورة الأعراف، جزء من الآية 158. ভাবার্থের অনুবাদ: “এবং হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা মহান আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আহ্বান গ্রহণ করে নিয়ে তার অনুসরণ করো, তবেই তোমরা নিশ্চয় জান্নাত বা স্বর্গ লাভের সঠিক পথ প্রকৃত ইসলামের সত্য অনুগামী হতে পারবে”। (সূরা আল আরাফ, আয়াত নং ১৫৮ এর অংশবিশেষ)।
আলইরবাদ বিন সারিয়া [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “সুতরাং তোমরা অবশ্যই আমার রীতিনীতির এবং সুপথগামী রাষ্ট্রীয় অধিনায়কগণ বা খলিফাগণের রীতিনীতির অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে ধরবে। সাবধান! প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কর্ম হিসেবে এমন কোনো কর্ম সম্পাদন করা হতে বিরত থাকবে, যে কর্মের বিষয়ে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কোনো উপদেশ নেই। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম বহির্ভূত প্রতিটি নতুন কাজই হলো বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতই হলো পথভ্রষ্টতা”। আবু দাউদ (4607)।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যা বলেছেন বা করেছেন তা মেনে চলা। এবং তাঁর পদ্ধতি অবলম্বন করা আর তাঁর আদেশ মান্য করা এবং তাঁর নিষিদ্ধ করা বা অবিহিত করা বিষয় হতে বিরত থাকো এবং প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা তাঁরই নিয়ম মোতাবেক বাস্তবায়িত করাই হলো আসলে তাঁর অনুসরণ করা।
অপরিহার্য বা ওয়াজিব বিষয়ে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর অনুসরণ করা অপরিহার্য বা ওয়াজিব। এবং মোস্তাহাব বা উত্তম ও পছন্দনীয় কাজে তাঁর অনুসরণ করা মোস্তাহাব বা উত্তম ও পছন্দনীয় কাজ।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস মেনে চলার অনেক মর্যাদা ও সুফল রয়েছে, সেই সব মর্যাদা ও সুফলের মধ্যে রয়েছে:
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস মেনে চলার মধ্যে এবং তার অনুসরণের মধ্যে জাহান্নামি বা নারকী ও দোজখি দলের অনুসরণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আবদুল্লাহ আমর [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতের উপর এমন একটি সময় আসবে যেমন বানী ইসরাঈলের উপরে এসেছিল। যেমন এক পায়ের জুতা অপর পায়ের জুতার ঠিক সমান হয়। এমনকি বানী ইসরাঈলের মধ্যে যদি কেউ তার মায়ের সাথে প্রকাশ্যে কুকর্ম করে থাকে, তাহলে আমার উম্মাতের মধ্যেও এমন লোক হবে যারা অনুরূপ কাজ করবে। আর বানী ইসরাঈল বাহাত্তার ফিরকায় বা দলে বিভক্ত হয়েছিলো। আমার উম্মাত বিভক্ত হবে তিয়াত্তর ফিরকায় বা দলে। এদের মধ্যে একটি ব্যতীত সব দলই জাহান্নামে যাবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! জান্নাতী দল কারা? উত্তরে তিনি বললেন: যার উপরে আমি প্রতিষ্ঠিত আছি এবং আমার সাহাবীগণ প্রতিষ্ঠিত আছে, তারই উপরে যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে, তারাই হবে জান্নাতী দল। তিরমিযী (2641)।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস মেনে চলার মাধ্যমে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক জীবন পরিচালিত হবে এবং পথভ্রষ্টতা থেকে নিরাপত্তা লাভ হবে। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَٱتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ)، سورة الأعراف، جزء من الآية 158. ভাবার্থের অনুবাদ: “এবং হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা মহান আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আহ্বান গ্রহণ করে নিয়ে তার অনুসরণ করো, তবেই তোমরা নিশ্চয় জান্নাত বা স্বর্গ লাভের সঠিক পথ প্রকৃত ইসলামের সত্য অনুগামী হতে পারবে”। (সূরা আল আরাফ, আয়াত নং ১৫৮ এর অংশবিশেষ)। অর্থ: আবু হুরায়রা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখেছি, সেই দুইটি আঁকড়ে ধরার পর তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না: প্রথমটি হলো পবিত্র কুরআন এবং দ্বিতীয়টি হলো আমার হাদীস”। মুসতাদরাক আল হাকিম (319)।
প্রকৃত ইসলাম ধর্মে সৎকর্ম কবুল হওয়ার বিষয়টি আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সঠিক পন্থায় অনুসরণ করার প্রতি নির্ভর করে। সুতরাং যে ব্যক্তি প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কোনো সৎকর্ম করবে, সে ব্যক্তি আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীসের শিক্ষা মোতাবেক সৎকর্ম করবে। আর এটা তার প্রতি অপরিহার্য বিষয়। তাই এই ক্ষেত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে: عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ". (صحيح مسلم، رقم الحديث 18- (1718)، واللفظ له، وصحيح البخاري، رقم الحديث 2697). অর্থ: নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রিয়তমা আয়েশা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কর্ম হিসেবে এমন কোনো কর্ম সম্পাদন করবে, যে কর্মের বিষয়ে আমাদের প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কোনো উপদেশ নেই। তাহলে সেই কর্মটি পরিত্যাজ্য বলেই বিবেচিত হবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 18-(1718) এবং সহীহ বুখারী, হাদীস নং 2697, তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ মুসলিম থেকে নেওয়া হয়েছে]।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর শিক্ষা মেনে চলার মাধ্যমে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর দলের অন্তর্ভূক্ত হওয়া যায় এবং আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর শিক্ষা বর্জন করার মাধ্যমে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর দল হতে খারিজ হওয়া যায়। তাই এই ক্ষেত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে: عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، يَقُوْلُ: جَاءَ ثَلَاثَةُ رَهْطٍ إلى بُيُوْتِ أزْوَاجِ النَّبيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَسْأَلُوْنَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ فَلَمَّا أُخْبِرُوْا كَأنَّهُمْ تَقَالُّوْهَا؛ فَقالوا: وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟! قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ؛ قَالَ أحَدُهُمْ: أمَّا أنَا؛ فَأَنَا أُصَلِّي اللَّيْلَ أبَدًا، وَقَالَ آخَرُ: أنَا أصُوْمُ الدَّهْرَ وَلَا أُفْطِرُ، وَقَالَ آخَرُ: أنَا أعْتَزِلُ النِّسَاءَ؛ فَلَا أتَزَوَّجُ أبَدًا؛ فَجَاءَ رَسوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ فَقَالَ: أنْتُمُ الَّذِيْنَ قُلتُمْ كَذَا وكَذَا؟! أَمَا وَاللَّهِ إنِّيْ لَأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وأَتْقَاكُمْ لَهُ، لَكِنِّيْ أَصُوْمُ وَأُفْطِرُ، وَأُصَلِّيْ وَأَرْقُدُ، وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ؛ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتيْ فَلَيْسَ مِنِّيْ". (صحيح البخاري، رقم الحديث 5063، واللفظ له، وصحيح مسلم، رقم الحديث 5- (1401)، ). অর্থ: আনাস বিন মালিক [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: তিন জনের একটি দল আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর ইবাদত বা উপাসনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বিবিগণের গৃহে আগমন করেছিলেন। যখন তাদেরকে এই সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিলো, তখন তারা এই ইবাদত বা উপাসনার পরিমাণকে কম মনে করেছিলেন এবং বলেছিলেন: আমরা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সমকক্ষ হতে পারি না। কেননা তাঁর তো আগের এবং পরের সমস্ত গুনাহ বা পাপ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। এমন সময় তাদের মধ্যে থেকে একজন বলেছিলেন: আমি সারা জীবন রাতে নামাজ পড়তে থাকবো। অপর একজন বলেছিলেন: আমি সারা বছর রোজা পালন করবো এবং কখনও বিরতি দিবো না। অপরজন বলেছিলেন: আমি নারী বিবর্জন করবো সুতরাং কখনও বিবাহ করবো না। এরপর আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাদের কাছে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন: “তোমরা কি ওই সকল লোক, যারা এই ধরণের কথা বলেছেন? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশি ভক্তির সাথে ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে অনেক বেশি তাঁর আনুগত্য করি; অথচ আমি রোজা পালন করি, আবার রোজা থেকে বিরতও থাকি, নামাজ পড়ি এবং ঘুমাই আর বিবাহ করি। সুতরাং যারা আমার শিক্ষা থেকে বিমুখ হবে, তারা আমার দল থেকে খারিজ হয়ে যাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৬৩ এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫ - (১৪০১) তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ বুখারী থেকে নেওয়া হয়েছে]।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস ও শিক্ষা মেনে চলার মাধ্যমে সকল প্রকারের অমঙ্গল ও দুর্দশা এবং কষ্টদায়ক শাস্তি হতে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُوْنَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيم) سورة النور، جزء من الآية 63. ভাবার্থের অনুবাদ: “অতএব যারা আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদের আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করবে, তারা এখনই সর্তক হয়ে যাবে। নচৎে তাদেরকে গ্রাস করবে সর্ব প্রকারের অমঙ্গল ও দুর্দশা এবং তাদেরকে গ্রফেতার করবে কষ্টদায়ক শাস্তি”। (সূরা আন্ নূর, আয়াত নং ৬৩ এর অংশবিশেষ)।
আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হাদীস ও শিক্ষা মেনে চলার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে সকল প্রকারের পূর্ণ সফলতা লাভ হবে এবং সর্বত্র সুখশান্তি পাওয়া যাবে। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَمَنْ يُطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ)، سورة النور، الآية 52. ভাবার্থের অনুবাদ: “আর যারা আল্লাহ ও তদীয় বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদের আনুগত্য করবে আর নিজেদের পাপের পরিণামকে ভয় করে সৎ কর্ম করবে এবং আল্লাহর শাস্তি হতে পুণ্য লাভের মাধ্যমে নিজেদেরকে রক্ষা করবে, কেবলমাত্র তারাই আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত বা স্বর্গ লাভে এবং জাহান্নাম বা নরকের শাস্তি হতে মুক্তি লাভে সফলকাম হবে”। (সূরা আন্নূর, আয়াত নং ৫২)।