মডেল: বর্তমান বিভাগ
পাঠ্য বিষয় শিরোনাম: মহামারী রোগ সংক্রান্ত বিধিবিধান
রোগ সংঘটিত হওয়ার আগে রোগ প্রতিরোধ করার জন্য টিকা দেওয়া জায়েজ এবং এটি আল্লাহর উপর ভরসা করার বিপরীত কর্ম নয়; যেহেতু আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সহীহ হাদীসে বলেছেন: “যে ব্যক্তি সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সে ব্যক্তির সে দিন কোনো বিষ বা যাদু ক্ষতি করতে পারবে না”। (বুখারী ২০৪৫ ও মুসলিম ৫৪)।
প্রকৃত ইসলাম ধর্মের একটি শিক্ষা হলো এই যে, সুস্থ মানুষ যেন অসুস্থের সংস্পর্শ বর্জন করে। তাই আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] করেছেন: لَا يُورِدَنَّ مُمْرِضٌ علَى مُصِحٍّ (صحيح البخاري، رقم الحديث 5771، واللفظ له، وصحيح مسلم، رقم الحديث 104 - (2221)،). অর্থ: “রোগাক্রান্তকে সুস্থের কাছে কোনো সময় নিয়ে যাবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং 577১ এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 10৪ -(2221), তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ বুখারী থেকে নেওয়া হয়েছে।]
অতএব, যে ব্যক্তি সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হবে, তার কাছে প্রবেশ করা হতে দূরে থাকতে হবে। তবে তার পরিবারের সাথে দেখা করা যেতে পারে এবং তার অবস্থা সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। আর দূর থেকে তার জন্য দোয়া করা এবং তার চিকিত্সার জন্য সম্ভবপর ও গ্রহণযোগ্য অর্থ ও সম্মান দিয়ে সাহায্য ইত্যাদি করা যেতে পারে। তবে এই সব বিষয় রোগের বিস্তার রোধ করার উপায় গ্রহণ করার সাথে সাথে করতে হবে।
প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক ঘৃণিত ব্যাধি বা মহামারী রোগ যে স্থানে ঘটবে, সে স্থানে প্রবেশ করা অথবা সে স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া জায়েজ নয়। যেহেতু এই বিষয়ে আব্দুর রহমান বিন আওফ [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেই হাদীসে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: "إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ". (صحيح البخاري، رقم الحديث 6973، وصحيح مسلم، رقم الحديث 98 - (2219)،). অর্থ: “যখন তোমরা কোনো এলাকায় মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাবে, তখন তোমরা সেই এলাকায় যাবে না। আর যখন কোনো এলাকায় তোমরা থাকা অবস্থায় মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়বে, তখন তোমরা সেই এলাকা হতে অন্য এলাকায় পলায়ন করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং 6973 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 98- (2219)] । আর এটাই হলো মুসলিম জাহানের অধিকাংশ আলেম বা বিদ্যাবান ও পণ্ডিতের মত। সুতরাং প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক ঘৃণিত ব্যাধি বা মহামারী রোগ যে স্থানে ঘটবে, সে স্থানে প্রবেশ করা জায়েজ নয় অথবা ঘৃণিত ব্যাধি বা মহামারী রোগ থেকে পলায়ন করার ইচ্ছায় সে স্থান থেকে অন্য স্থানে সফর করাও জায়েজ নয়।
জামাআতের সাথে নামাজ পড়া পুরুষদের জন্য ওয়াজিব বা অপরিহার্য। তবে কতকগুলি আলেম বা বিদ্যাবান ও পণ্ডিত উল্লেখ করেছেন যে, জামাআতের সাথে নামাজ পড়া পুরুষদের জন্য ওই সময় ওয়াজিব বা অপরিহার্য নয়, যখন প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক তার কোনো কারণ থাকবে। এর দলিল হলো আয়েশা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর হাদিস। সেই হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তখন তিনি মুসলিমদের সাথে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন: আবু বাকর [রাদিয়াল্লাহু আনহু] কে লোকদের সাথে ইমাম হিসেবে নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও। (বুখারী 664, মুসলিম 418)। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি তার অসুস্থতার কারণে বা স্পষ্টভাবে তার কষ্ট অনুভব করার কারণে মাসজিদে জামাআত ছেড়ে একাই নামাজ পড়ে, তাহলে তার জন্য তা জায়েজ বলেই বিবেচিত হবে।
কোনো অনিবার্য কারণে ফরজ নামাজ সাধারণ মাসজিদে ছুটে গেলে সেই নামাজ বাড়িতে পড়ার জন্য এবং নফল নামাজ বাড়িতে পড়ার জন্য মুসলিম ব্যক্তির জন্য তার বাড়ির মধ্যে একটি স্থানে মাসজিদ নির্ধারিত করা মোস্তাহাব বা পছন্দনীয় কাজ। আর এই বিষয়টি আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর শিক্ষা সম্মত কাজ। কেননা এই বিষয়টি ইতবান বিন মালিক [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর হাদীসে সহীহ মুসলিম গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু ইতবান বিন মালিক [রাদিয়াল্লাহু আনহু] আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে বলেছিলেন যে, তাঁর দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর বৃষ্টির জল যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাঁর মাঝে এবং তাঁর সম্প্রদায়ের মাসজিদের মাঝে একটি উপত্যকায় বন্যা দেখা দেয়। তাই তিনি তাঁর সম্প্রদায়ের মাসজিদে উপস্থিত হতে পারেন না। অতএব তিনি আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে অনুরোধ করে বলেছিলেন: তিনি যেন ইতবান বিন মালিক [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর বাড়িতে এসে একটি স্থানে নামাজ পড়েন। যাতে ইতবান বিন মালিক [রাদিয়াল্লাহু আনহু] সেই স্থানটিকে নিজের নামাজ পড়ার জন্য মাসজিদ বানিয়ে নিতে পারেন। তাই আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ইতবান বিন মালিক [রাদিয়াল্লাহু আনহু] এর বাড়িতে এসেছিলেন এবং একটি স্থানে নামাজ পড়েছিলেন।
তদ্রূপ মায়মুনা [রাদিয়াল্লাহু আনহা] এর বাড়িতে একটি মাসজিদ ছিলো আর আম্মার বিন ইয়াসির [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] এর বাড়িতেও একটি মসজিদ ছিলো। অতএব আমাদের উচিত বিভিন্ন কারণে বা এই সমস্ত দুর্যোগের কারণে যেন আমাদের বাড়ির মধ্যে একটি স্থানে মাসজিদ নির্ধারিত থাকে।
কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য মাসজিদে নামাজ পড়া অসম্ভব বা কঠিন বিষয় হলে সে তার বাড়িতে জামাআত করে নামাজ পড়লে সে জামাআতের সওয়াব বা পুণ্য পাবে। এই বিষয়টি কতকগুলি সাহাবী হতে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং ইবনে মাসউদ এবং আনাস প্রমুখ সাহাবীগণ [রাদিয়াল্লাহু আনহুম] এর ইমামের সাথে তাঁদের নামাজ ছুটে যাওয়ার কারণে তাঁরা বাড়িতেই জামাআত করে নামাজ পড়েছেন।
যখন বাড়িতে জামাআতের সহিত নামাজ পড়া হবে, তখন ইমামতি করার জন্য অধিক প্রাধান্য লাভকারী ব্যক্তি হবে বাড়ির মালিক। যদি তিনি ইমামতি না করান, তাহলে ইমামতি করার জন্য অধিক প্রাধান্য লাভকারী ব্যক্তি হবে সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জ্ঞান রাখে। তাতে সবাই সমান হলে যে ব্যক্তি নামাজের বেশি জ্ঞান রাখে, সে ব্যক্তি ইমামতি করার জন্য অধিক প্রাধান্য লাভকারী ব্যক্তি হবে। তাতেও সবাই সমান হলে যার বয়স বেশি হবে, সে ব্যক্তি ইমামতি করার জন্য অধিক প্রাধান্য লাভকারী ব্যক্তি হবে।
যখন কোনো মুসলিম ব্যক্তি তার বাড়িতে নামাজ পড়বে, তখন মুক্তাদি যদি একজন পুরুষ হয়, তাহলে সুন্নাত হলো এই যে, সে ইমামের ডান পাশে দাঁড়াবে। আর মুক্তাদি যদি বেশি হয়, তাহলে সুন্নাত হলো এই যে, তারা তার পিছনে দাঁড়াবে। এবং মুক্তাদি যদি মহিলা হয়, তাহলে সুন্নাত হলো এই যে, সে তার পিছনে দাঁড়াবে। তবে মুক্তাদি যদি একাধিক পুরুষ ও মহিলা হয়, তাহলে ইমামের পিছনে পুরুষরা দাঁড়াবে এবং মহিলারা তাদের পিছনে দাঁড়াবে।
এই সমস্ত দুর্যোগ, বিপর্যয় এবং বিপদ আপতিত হওয়ার কারণে একটি মহাসুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। সুতরাং আমরা আমাদের সন্তানসন্ততি, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনকে নামাজ পড়ার পদ্ধতি, তার শর্তসমূহ, পবিত্রতা অর্জনের বিধান ও তার আনুষঙ্গিক বিষয়াদি শিক্ষা দিবো আর এই বিষয়ে আমরা তাদেরকে সৎ উপদেশ দিবো।
বাড়ির ভিতরে মহিলাদের জন্য জামাআত করে নামাজ পড়া সুন্নাত। যেহেতু এই বিষয়টি উম্মু ওয়ারাকা, আয়েশা ও উম্মু সালামা [রাদিয়াল্লাহু আনহুন্না] থেকে প্রমাণিত হয়েছে। মহিলাদের এইভাবে জামাআত করে বাড়িতে নামাজ পড়ার মধ্যে অনেক মর্যাদা ও পুণ্য আছে। মহিলা ইমাম মহিলাদের সাথে জামাআত করে যখন নামাজ পড়াবে, তখন সে কাতারের মাঝখানে দাঁড়াবে।
মহামারীতে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য মানুষের সমাবেশে উপস্থিত হওয়া হারাম ও নিষিদ্ধ। যেহেতু তার দ্বারা মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন: (وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا)، سورة الأحزاب، الآية 58. ভাবার্থের অনুবাদ: “যারা বিনা দোষে প্রকৃত ইমানদার মুসলিম সমাজের পুরুষ ও নারীকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝায় ভারাক্রান্ত হবে”। (সূরা আল আহযাব, আয়াত নং ৫৮)।
প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম প্রকৃত ইসলামের নির্ধারিত বিধিবিধানের মধ্যে রয়েছে: "لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ ". অর্থ: “ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মানুষ যেন নিজের বা অন্য কোনো মানুষের ক্ষতি সাধন না করে”। [সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং ২৩৪১, আল্লামা মুহাম্মাদ নাসেরুদ্দীন আল আলবাণী এই হাদীসটিকে সহীহ সঠিক বলেছেন।] অতএব মহামারীতে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সুস্থ সমাজের সমাবেশে উপস্থিত হওয়া ও তাদের সাথে সংমিশ্রিত হওয়া জায়েজ নয়। তাই আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] করেছেন: لَا يُورِدَنَّ مُمْرِضٌ علَى مُصِحٍّ (صحيح البخاري، رقم الحديث 5771، واللفظ له، وصحيح مسلم، رقم الحديث 104 - (2221)،). অর্থ: “রোগাক্রান্তকে সুস্থের কাছে কোনো সময় নিয়ে যাবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং 577১ এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 10৪ -(2221), তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ বুখারী থেকে নেওয়া হয়েছে।]
নামাজের অবস্থায় মাস্ক পরিধান করা মকরুহ বা অপছন্দনীয় কাজ। যেহেতু আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তা থেকে নিষেধ করেছেন। তবে প্রয়োজনের খাতিরে বা মহামারীতে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে এই জাতীয় মাস্ক পরিধান করা বৈধ।
জামাআতের সহিত নামাজ পড়া বন্ধ হলেও শুক্রবারের অন্যান্য বিধিবিধানগুলি জারি থাকবে। সুতরাং শুক্রবারের ফজরের নামাজে সূরা সাজদা এবং সূরা ইনসান পাঠ করা প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা সম্মত একটি নির্ধারিত কাজ রয়েছে। আর শুক্রবারে আসরের নামাজের পর শেষ সময়ে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময়ও রয়েছে। শুক্রবারে আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রতি অনেক দরুদ পড়া এবং সূরা কাহাফ পাঠ করার বিধান নির্দিষ্ট রয়েছে। শুক্রবারে জুমার নামাজ বন্ধ হলেও এই সমস্ত কাজ অব্যাহত থাকবে। কেননা এই সমস্ত কাজ জুমার নামাজের সাথে সংযুক্ত নয়। তাই এই সমস্ত কাজ আসল অবস্থায় অবিচলিত থাকবে।
সাক্ষাৎ কালে করমর্দন করা অথবা মুসাফাহা বা মুসাফা করা হলো সুন্নাত। আল্লাহর বার্তাবহ রাসূল বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যখনই প্রকৃত ইমানদার দুই মুসলিম ব্যক্তি সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা বা মুসাফা করবে, তখনই তাদের পৃথক হয়ে প্রস্থান করার পূর্বেই উভয়কেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে”। (আবু দাউদ 5212) তবে যখন মহামারীতে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় হবে, তখন সাক্ষাৎ কালে মুসাফাহা বা মুসাফা বর্জন করে কেবলমাত্র সালাম দেওয়াই যথেষ্ট হবে। আর এতে আশা করা যায় যে, মুসাফাহা বা মুসাফা করার সমতুল্য পুণ্য লাভ হবে।